বলিউড তারকারা যেখানে ওজন কমাতে যান
হাল সময়ে ভূমি পেড়নেকারই একমাত্র স্থুল শরীর নিয়ে দিব্যি নাচগান করেছেন, সফলও হয়েছেন। মনে রাখতে হবে, ‘দম লাগা কে হাইশা’র গল্পটাও কিন্তু তেমনই ছিল। ছবির পরই ভূমি একেবারে ওজন কমিয়ে ফিট! বলিউড তারকাদের কাছে স্থুল শরীর কখনোই পছন্দের নয়। তাও ওজন তো মাঝেমধ্যেই বেড়ে চলে। এই ওজন কমানোর জন্য এ যুগের তারকাদের এক পছন্দের জায়গার খবর জানিয়েছে জিকিউ ইন্ডিয়া।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অনেকটা রিহ্যাব সেন্টারের মতো। নাম ভিভা মায়ার। অস্ট্রিয়ার করিন্থিয়ান আল্পস এলাকায় এর অবস্থান। এখানে শরীরের ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি মোটেও সাময়িক নয়। কয়েকদিনের ব্যায়াম আর খাওয়াদাওয়া দিয়ে এখানে কাউকে চটজলদি ফিট বানানো হয় না, পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয় ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’ আঙ্গিকে। এখানকার সেবা নিতে হলে প্রতি সপ্তাহে গুনতে হয় সাড়ে চার হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণের অর্থ।
পরিণীতি চোপড়ার জাদুকরি পরিবর্তন তো সবাই দেখেছেন। তবে কেবল পরিণীতিই নন, এখানকার সেবা নিয়েছেন আলিয়া ভাট, অর্জুন কাপুর কিংবা আদিত্য চোপড়া! আর সবারই কথা, এ জায়গার কোনো তুলনা হয় না।
কী আছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে? বিস্তারিত জানার উপায় নেই, বিজনেস পলিসি বলে কথা! এখানকার কক্ষগুলো নাকি খুবই সাধারণ। একেবারে ছোটখাটো ঘর, মাঝখানে কেবল পার্টিশন দেওয়া। এখানে কোনো রকমের ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা নেই—অর্থাৎ যদ্দিন এখানে থাকবেন, প্রযুক্তি ব্যবহারকে ছুটি দিয়ে দিতে হবে।
প্রথম কয়েকদিনে বেশ শারীরিক কষ্ট ভোগ করতে হয় সবাইকেই। সেগুলো এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খাবার আর রীতিনীতি-নির্দেশনা অনুসরণ করার কারণেই হয়। এর ফলে অসহনীয় মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, ত্বক বসে যাওয়া থেকে শুরু করে নাকি মনে হয় মরণ বুঝি ঘনিয়ে এলো! মজার ব্যাপার এই কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পরেই শুরু হয় বিচিত্র পরিবর্তন। সবাই নাকি নিজেদের মধ্যে অদ্ভুত এক পরিবর্তন টের পান, সেই সঙ্গে অনুভব করেন তীব্র আত্মবিশ্বাস ও উদ্দীপনা।
পরিণীতি তো এমনই ভাবেন, এখানে এসে নতুন জন্ম হয়েছে তাঁর। ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট শক্তপোক্ত হলে আর ওজনের সমস্যায় ভুগলে আপনিও কিন্তু যেতে পারেন। শুধু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, ভিভা মায়ারে যদ্দিন থাকবেন সেখানকার নিয়ম এক্কেবারে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। তাহলেই কেল্লা ফতে!