নওগাঁয় সপ্তাহ জুড়ে একুশে বইমেলা শুরু
নওগাঁয় শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। গতকাল বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘একুশে পরিষদ’ নওগাঁর উদ্যোগে এই বই মেলা শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বই মেলার উদ্বোধন করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান।
উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডিএম আব্দুল বারী। সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, কবি ও সাহিত্যিক আতাউল হক সিদ্দিকী, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কায়েস উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘চেতনার পথে দ্বিধাহীন অভিযাত্রা’ শ্লোগানে ১৯৯৪ সালে একুশে পরিষদ নওগাঁ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নওগাঁকে নতুন করে তুলে ধরে আসছে। অবহেলিত অথচ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়গুলোকে মানুষের দৃষ্টিতে আনা, সমাজের নানা অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদে রাস্তায় আন্দোলন করাসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। একুশে পরিষদ তার কাজের মাধ্যমে নওগাঁর গণ্ডি পেরিয়ে আজকে পুরো দেশে সারা দেশে সাড়া ফেলেছে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর মাসের মাসে সফলভাবে বই মেলার আয়োজন করছে সংগঠনটি। একুশে পরিষদের মতো অন্যান্য সংগঠনগুলোকেও এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসা উচিত।’
আলোচনা সভা শেষে মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে একুশে শতকণ্ঠে জাগরণের গান পরিবেশিত হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নওগাঁ বাউল ব্যান্ডের শিল্পীসহ স্থানীয় শিল্পীরা গান ও নাচ পরিবেশন করে।
আয়োজকরা জানান, এবারের মেলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রথমা ছাড়াও অন্বেষা ও মৌমাছি প্রকাশনীর বইয়ের বিশাল সমারোহ থাকছে। এছাড়া স্থানীয় বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরি মেলায় অংশগ্রহণ করছে। এসব স্টলে দেশি-বিদেশি বইয়ের বিশাল সমারোহ থাকছে।
মেলায় মোট ৭৫টি স্টল থাকছে। এর মধ্যে বইয়ের স্টল ২৫টি। বাকিগুলো স্থানীয় উদ্যোক্তাদের হস্ত ও কুটির শিল্পের প্রদর্শনী ও বিক্রয় স্টল।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই বইমেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে সাতদিন ধরে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাধারণ জ্ঞান, গদ্যপাঠ, সুন্দর হাতের লেখা, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও ভাষার গান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সংগীত ও নৃত্য একাডেমির শিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।