শাস্তি ঘোষণার পর চমকের ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অভিনেতা আরশ খান ও নির্মাতা আদিব হাসানের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আর এজন্য অভিনয়শিল্পী সংঘের রায়ে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। আর এই শাস্তি পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী চমক।
বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন চমক। এদিন ভোর ৩টা ৪৪মিনিটের স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ একদমই একটি নারীবাদী দেশ। এখানে মেয়েরা সর্বস্থলে সবসময় নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারে। কোথাও কারো কাছে কিংবা কোনো পরাশক্তি বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করতে হয় না। নিরাপদে নির্ভীক থাকুক প্রতিটি মেয়ে।’
এর কিছুক্ষণ পরই আরও একটি স্ট্যাটাস দেন অভিনেত্রী চমক। স্ট্যাটাসে কবিতার ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে চমক লিখেছেন, ‘দিন শেষে সব দোষ নন্দ ঘোষের। আনন্দবাবু তো তুলসীপাতা, তাও আবার ধোয়া, যায় না তাকে ছোঁয়া! নন্দ ঘোষের মুখে তালা, ভয়-ভীতিও আছে, পাছে সবাই করে ছি-ছি তারে, কেটে দেয় তার ডালপালা যদিও একটু বাড়ে! থাক, এবার না হয় বাঁচুক প্রাণ, কে নেবে, যদি রাখে ঈশ্বর মানীর মান! দুষ্ট লোক এবার দিলেও ফাঁকি, মনে রেখো, তার হিসেব রইলো শ’খানেক বাকি!’
এদিকে চমকের এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করেছেন আবার কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে নেটিজেনদের অনেকেই মনে করছেন, সম্প্রতি চমকের বিরুদ্ধে টিভি নাটকের সংগঠনের দেয়া রায় ও অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্ট্যাটাসদিয়েছেন চমক।
এর আগে তাদের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব), ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘ এই তিন সংগঠনের আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে নিজের কৃতকর্মের জন্য ফখরুল বাশার মাসুম ও আরশ খানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করবেন না বলে লিখিত অঙ্গীকার দেন এই অভিনেত্রী চমক।
এ ছাড়া গত ৪ আগস্ট একটি শুটিং ইউনিটে ঘটে যাওয়া ঘটনার সময় যারা উপস্থিত ছিলেন ওই নাটকের সেটে তাদের প্রত্যেকের সামনে চমককে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে বলেও সংগঠনগুলো থেকে জানানো হয়েছে।