জীবনে আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে : নচিকেতা
গত বছর ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের ৩০ বছর পূর্তি ঢাকায় উদযাপন করে গেলেন কবীর সুমন। এবার এলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। ১৯৯৩ সালে সংগীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু হয়েছিল দুই বাংলার জনপ্রিয় এই গায়ক। তিন দশকে বাংলা গানকে নতুন এক দিগন্ত দিয়েছেন তিনি। জীবনের কথাগুলোকে শ্রোতাদের গান হিসেবে দিয়েছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নচিকেতা চক্রবর্তীর সংগীতাঙ্গনে ৩০ বছর উপলক্ষে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা উইথ জয় শাহরিয়ার’ কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
কনসার্টের প্রথম ভাগে মঞ্চে উঠেন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার। এরপর মঞ্চ মাতান নচিকেতা। রাত প্রায় সাড়ে ৮টায় মাইক হাতে গান ধরেন তিনি। কণ্ঠে তোলেন ‘অন্তবিহীন পথে চলাই জীবন, জীবনের মানে নয় তো জীবন’। গান চলার ফাঁকে অনুষ্ঠানে মূল উদ্যোক্তা জয় শাহরিয়ারের প্রশংসা করেন নচিকেতা। তিনি বলেন, ‘জয় আমার খুব প্রিয়। ও ঠিক আমার মতন।’
নচিকেতা আরও বলেন, ‘সংগীতের এই যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। একটু আগেই একজন জিজ্ঞাসা করছিল যে আমার চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ হয়েছে কি-না? সেই উত্তরে বলছি, জীবনে আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে।’
নচিকেতা গাইতে থাকেন একের পর এক গান। যার সুরে বুঁদ হয়ে ছিলেন উপস্থিত দর্শক। গানের ফাঁকে ফাঁকে চলছে কথা। এক সময় সামনে বসে থাকা দর্শকদের ফোনে ভিডিও করা দেখে খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করেন এই শিল্পী।
নচিকেতা বলেন, ‘এই যন্ত্রটা খুবই বিরক্তিকর। একটা লোক গান গাইছে, তা না শুনে ভিডিও করে যাচ্ছে। এখন যা বলছি, সেটাও ভিডিও করছে। আসলে বুঝতেই পারছে না, কী বলছি।’
এই কনসার্টে নচিকেতার সঙ্গে তবলায় ছিলেন প্রজেনজিৎ, গিটারে ছিলেন রূপক এবং কি-বোর্ডে ছিলেন অর্ঘ্য কমল। প্রায় দেড় ঘণ্টা মঞ্চে পাওয়া যায় নচিকেতাকে। গেয়ে শোনান ১৫টি গান। যেগুলো মধ্যে ছিল রাজশ্রী তোমার জন্য, তুমি আসবে বলেই, দেখে যা অনির্বাণ, আমার ইচ্ছে করে, হয়তো তোমার জন্য, বৃদ্ধাশ্রম, একদিন ঝড় থেমে যাবে ইত্যাদি। আর শেষ হয় তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘নীলাঞ্জনা’ দিয়ে।