জলদস্যুর কবল থেকে ১৯ পাকিস্তানিকে উদ্ধার করল ভারত
সোমালি জলদস্যুরা ইরানের একটি মাছ ধরার জাহাজে আক্রমণ করেছিল। ভারতীয় নৌবাহিনী গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করেছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুমিত্রা ইরানের মাছ ধরার নৌকা আল-নয়িমি থেকে ১৯ জন পাকিস্তানিকে নিরাপদে মুক্ত করতে পেরেছে। ১১ জন সোমালি জলদস্যু ওই জাহাজের কর্মীদের পণবন্দি করেছিল।
নৌবাহিনী যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সোমালি জলদস্যুরা একে ৪৭ হাতে নৌকায় দাঁড়িয়ে আছে, আর তাদের মাথার উপর উড়ছে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার।
এরপর যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কমান্ডোরা সেই মাছ ধরার নৌকায় উঠেছে। তারা রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে আছে। একদল জলদস্যু মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে আছে। তাদের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা আছে।
গত সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে। সোমালি তটভূমির কাছে ভারতের কচ্ছ থেকে ৮৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারতীয় নৌবাহিনী এই উদ্ধারকাজ করেছে। এর ৩৬ ঘণ্টা আগে ভারত জানিয়েছিল, সোমালি জলদস্যুরা ইরানের আরেকটি মাছ ধরার নৌকাকে অপহরণ করেছিল। সেখান থেকে ১৭ জন কর্মীকে মুক্ত করে নৌবাহিনী।
ওই নৌকাটি তিনদিন আগে সোমালি জলদস্যুরা আটক করেছিল।
জলদস্যুরা যেভাবে মাছ ধরার নৌকায় হামলা চালাচ্ছে ও কর্মীদের বন্দি করে মুক্তিপণ দাবি করছে, তা রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমালি জলদস্যু ছাড়াও হুতি বিদ্রোহীরাও বিভিন্ন জাহাজের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তবে হুতিরা আক্রমণ করছে রেড সি বা লোহিত সাগর ও গালফ অফ এডেনে।
সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা ২০১১ সালে তুঙ্গে ওঠে। তারা সোমালি তটভূমি থেকে তিন হাজার ৬৫৫ কিলোমিটার দূরে গিয়েও আক্রমণ করেছে।
২০০৮ সাল থেকেই ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালি জলদস্যুদের মোকাবিলা করছে। তবে গত ডিসেম্বরে ভারতীয় নৌবাহিনীর তৎপরতা আরও বেড়েছে। নৌবাহিনী এই কাজে একটি যুদ্ধবিমান ও তিনটি মিসাইল গাইডেড ডেস্ট্রয়ার ব্যবহার করছে।