টেকনাফে আশ্রয় নিল মিয়ানমারের বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে টেকনাফ সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে নতুন করে বিজিপির এই ১৩ সদস্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড ওই বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সর্বমোট ২৭৪ জন সদস্য বিজিপি হেফাজতে রয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে এই দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আর ১৪ সদস্য।
গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন। তাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।