বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লিতে নিহত ৭, রেড অ্যালার্ট জারি
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। অতি বৃষ্টিতে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা এবং বিভিন্ন ঘটনায় মারা গেছেন সাতজন। আজ বৃহস্পতিবারও প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিল্লিতে এক ঘণ্টায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রগতি ময়দানের কাছে বৃষ্টি হয়েছে ১১২ মিলিমিটারেরও বেশি। এই বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে পড়ে রাজধানী শহরটি। বহু রাস্তায় পানি জমে যায়। বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। গভীর রাত পর্যন্ত যানজট চলে। দিল্লিজুড়ে অনেক রাস্তাই পানির নিচে চলে যায়।
দিল্লির গাজিপুরে তনুজা নামে এক নারী ও তার তিন বছরের ছেলে প্রিয়াংশ পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় নালার মধ্যে পড়ে মারা গেছেন। গুরুগ্রামের ইফকো চকে বিদ্যুৎবাহী তার রাস্তায় জমা পানিতে পড়ে যায়। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। সবজিমণ্ডিতে বাড়ি ধসে পড়লে একজনের মৃত্যু হয়। গ্রেটার নয়ডায় মৃত্যু হয়েছে একজনের।
দিল্লি বিমানবন্দরে ঝড়-বৃষ্টির সময় মোট ১০টি ফ্লাইটকে নামতে দেওয়া হয়নি। আটটি উড়োজাহাজকে জয়পুর এবং দুটি ফ্লাইটকে লখনউ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দিল্লিতে আজ বৃহস্পতিবার রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। তারা জানিয়েছে, দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ঝড়-বৃষ্টি হবে। খুব দরকার না থাকলে মানুষকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ৫ অগাস্ট পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি চলবে।
বৃহস্পতিবার দিল্লির সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী অতিশি জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে হিমাচল প্রদেশের রামপুরে ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘফাটা বৃষ্টির পর আকস্মিক বন্যায় ২০ জন নিখোঁজ হন। একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। বিপর্যয় মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া উত্তরাখণ্ডের তেহরিতে বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় দুজনের মৃত্যু এবং তিনজন নিখোঁজ হয়েছে। হরিদ্বারে বৃষ্টির ফলে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়।