কমলা কী ভারতীয় নাকি কৃষ্ণাঙ্গ, প্রশ্ন ট্রাম্পের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস অতীতে নিজের কৃষ্ণাঙ্গ বংশ পরিচয় লুকানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি কি ভারতীয়, নাকি কৃষ্ণাঙ্গ?’
কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের বার্ষিক সম্মেলনে বুধবার কমলা হ্যারিসকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (কমলা হ্যারিস) বরাবরই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি বরাবরই শুধু ভারতীয় ঐতিহ্য প্রচার করেছেন। বেশ কয়েকবছর আগে অবধি, যখন তিনি কৃষ্ণাঙ্গে পরিণত হন, আমি জানতাম না যে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ। এখন তিনি নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পরিচিত করতে চান। সুতরাং আমি জানি না, তিনি ভারতীয়, নাকি কৃষ্ণাঙ্গ?’
ট্রাম্প বলেন, ‘কিন্তু আপনারা জানেন, আমি যে কোনোটাই সম্মান করি। কিন্তু তিনি (কমলা) অবশ্য তেমন নন। কারণ, তিনি বরাবরই ভারতীয় ছিলেন। তারপর হঠাৎ করে মোড় নেন। তিনি চেয়েছেন এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন।’
কমলা হ্যারিসের ভারতীয় এবং জামাইকার পারিবারিক পরিচয় রয়েছে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি হচ্ছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় আমেরিকান ব্যক্তি যিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এক প্রতিক্রিয়ায় কমলা হ্যারিস জানান যে, এ ধরনের কথা সাবেক প্রেসিডেন্টের চার বছরের শাসনামল কেমন ছিল তা আবারও জানান দিলো।
হিউস্টনে আফ্রিকান আমেরিকান শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সিগমা গামা রোর সম্মেলনে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘এটা অতীতের মতো একই ধরনের বিভাজন ও অসম্মানের প্রদর্শনী। আমেরিকার মানুষ এর চেয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করে।’
হ্যারিসের বংশ পরিচয় সংক্রান্ত ট্রাম্পের বক্তব্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। রিপাবলিকান দলের কৌশলবিদ হুইট এয়ারস মনে করেন, হ্যারিসের বর্ণ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ট্রাম্পের বিচক্ষণ পদক্ষেপ হয়নি। তিনি বলেন, ‘তার পরিচয় নিয়ে কথা বলার চেয়ে অনেক নীতিগত ইস্যু আছে যা নিয়ে কথা বলা যায়।’
২০২০ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চার কোটি মানুষ নিজেদের বহুজাতিক হিসেবে পরিচয় দেন। ২০১০ সালে সংখ্যাটি ছিল নব্বই লাখের মতো।