যে কারণ দেখিয়ে টুকু, পলক ও সৈকত রিমান্ডে
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে ১০ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এই আদেশ দেন।
এর আগে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে তাদের কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে রেখে আদালতে হাজির করা হয়। এরপরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংগঠনের নেতা। ঢাকাসহ সারা দেশের কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় অবস্থান করলে তাদের নির্দেশে ও হুকুমে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা থেকে সরানোর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে ভিকটিম কামাল মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এতে আরও বলা হয়, আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মামলার ঘটনা সম্পর্কিত সুস্পষ্ট তথ্য সংগ্রহ, ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে। এজন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ডে আনা প্রয়োজন। রাষ্ট্রপক্ষ ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আর্জি জানায়।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই আসামিদের নির্দেশেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাদের ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগ গতকাল বুধবার রাতে টুকু, পলক ও সৈকতকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তিনজনকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ওই সময় পল্টন মডেল অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেন্টু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৯ জুলাই পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।