তুরস্কে নতুনদের জায়গা দিতে ৩৮ হাজার বন্দির মুক্তি!
তুরস্কে ৩৮ হাজার বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। গত জুলাই মাসে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার হওয়া হাজার হাজার বন্দিকে জায়গা দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার তুরস্কের বিচারমন্ত্রী বাকির বোসদাগ এক টুইটার বার্তায় এই ঘোষণা দিয়েছেন।
তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ গত ১৫ জুলাই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল। তারা রাজধানী আংকারা ও ইস্তাম্বুলে ট্যাংক পাঠায়। বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে সেনাবাহিনীর ওই অংশের সম্প্রচারিত বিবৃতিতে দেশের পুরো ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার দাবি করা হয়।
ওই ঘোষণার পর রাতেই জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজধানী আংকারা ও গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুলে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে নামেন সরকার সমর্থকরা। এরপর অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যায়। এই অভ্যুত্থানচেষ্টায় ২৪০ জন নিহত হয়।
রিসেপ তাইয়েপ এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাচিত ধর্মগুরু ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করেন। গুলেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন এবং অভ্যূত্থান চেষ্টাকারীদের নিন্দা জানান।
নিউজউইক জানিয়েছে, অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীসহ সরকারের সব বিভাগের হাজার হাজার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুলেনের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে তুরস্কের সরকার এখনো সরকারি কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ বুধবার দুটি জরুরি আদেশ (ডিক্রি) জারি করে দুই হাজার ৩৬০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ডিক্রির মাধ্যমে বিটিকে টেকনোলজির ২০০ কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং টিআইবি টেলিকমস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ডিক্রির মাধ্যমেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে নিয়োগ দিয়েছেন এবং তিন মাসের জরুরি অবস্থা বলবৎ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। গত ২১ জুলাই এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।