ইতালির ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি অবস্থা
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ইতালির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ও মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটির সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৬ মিনিটে এই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে ইতালির অন্তত ২৫০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৩৬৫ জন।
ভূমিকম্পের দ্বিতীয় রাতে গতকাল বৃহস্পতিবারও ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহ। তবে জীবিত উদ্ধারের আশা প্রায় ক্ষীণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার অভিযানে পাঁচ হাজার কর্মী অংশ নিয়েছেন। তবে ভূমিকম্প-পরবর্তী মৃদু কম্পনে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
ইতালির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কর্মকর্তা লরেঞ্জো বোট্টি বিবিসিকে বলেন, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে তাঁদের। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে কাউকে জীবিত খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে অনেকেই লরেঞ্জো বোট্টির কথার ঘোর বিরোধী। তাঁদের মতে, ২০০৯ সালে ইতালির এক ভূমিকম্পের তিন দিন পরও একজন উদ্ধার হন। ওই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল ৩০০ জন।
এরই মধ্যে ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দেশ পুনর্গঠনে চার কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার তহবিল চেয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। এর পাশাপাশি বাসিন্দাদের কর বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে ইতালিতে ভবন তৈরির মান নিয়ে সমালোচনা থামাতে ‘ইতালিয়ান হোম’ নামে একটি উদ্যোগের কথা বলেছেন রেনজি।
ইতালিতে ভবন তৈরির মান নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুরোপুরি ভূমিকম্পরোধী ভবন তৈরি করতে পারবে না ইতালি।
ইতালির সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশটির ঐতিহাসিক শহরগুলোতে ভূমিকম্পরোধী ভবন নির্মাণ নীতি মানা হয় না। নতুন ভবন করার সময়ও এই নীতি না মানার প্রবণতা দেখা যায়।