দ্বিতীয় দিন মাতিয়েছেন কৈলাশ, আজ বারী সিদ্দিকী ও পবন দাস
ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও সুরের মূর্ছনায় ভাসলেন হাজারো সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ। এদিনেও দর্শকরা উপভোগ করেছেন বিশ্বের সেরা লোকসংগীত শিল্পীদের পরিবেশনা।
দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে আর হাজাররো মানুষের ঢলে নিজেকে ভাসিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতেই কানে ভেসে এলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সেই শিশু শিল্পী জাহিদের কণ্ঠে ‘মধু হই হই আঁরে বিষ হাওয়াইলা’। গানটির তালে তালে গলা মিলিয়ে নেচেছে পুরো স্টেডিয়াম।
এরপর মঞ্চে আসেন মুন্সীগঞ্জের পালাগানের জনপ্রিয় শিল্পী লতিফ সরকার। তিনি শোনান ‘ঝাঁকে উড়ে আকাশজুড়ে দেখতে কী সুন্দর, ‘এত দুঃখ দিলি বন্ধু রে’, ‘একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর’সহ বেশ কয়েকটি গান।
তাঁর পরিবেশনা শেষে মঞ্চে আসেন কানাডার শিল্পী প্রসাদ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান শিল্পী তানভির আলম রাজীব। তাঁরা মূলত ইন্সট্রুমেন্টাল পরিবেশন করেন। গিটার, সেতার ও বাঁশিযন্ত্রসুরে পরিবেশন করেন, ‘রাইজ লাইক এ সান’, ‘রাইজ আপ দ্য পিপল’সহ কয়েকটি গানের লিরিক।
এরপর মঞ্চে গান নিয়ে আসে ভারতের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ইন্ডিয়ান ওশান। তাদের পরিবেশনা পরই মঞ্চে আসেন বাউল শিল্পী শফি মণ্ডল ও লাবিক কামাল গৌরব। শফি মণ্ডল গেয়ে শোনান ‘চাতক বাঁচে কেমনে’, ‘সোনার মানুষ’, ‘আমি মনমন্দিরে পূজা দেব’সহ কয়েকটি গান।
তবে দ্বিতীয় দিনে দর্শকদের কাছে মূল আকর্ষণ ছিল ভারতের সুফি-ফোক-পপ ঘরানার খ্যাতনামা শিল্পী কৈলাশ খের। তিনি যখন মঞ্চে এলেন তখন ঘড়ির কাঁটা রাত ১টা পেরিয়েছে। তাঁর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাততালি আর উচ্ছ্বাস-উল্লাসে কৈলাশের প্রতি ভালোবাসার জানান দিল তাঁর ভক্তরা।
সুরে সুরে ভাসিয়ে সেই ভালোবাসার প্রতিদানও দিলেন কৈলাশ। গানে গানে প্রায় ঘণ্টাখানেক মাতিয়ে রাখলেন তাঁর হাজারো দর্শক শ্রোতাকে। একে একে গেয়ে শোনালেন- ‘মে দিওয়ানা’, ‘তওবা তওবা’, ‘তেরি দিওয়ানি’, ‘সাইয়্যা’, ‘আল্লাহ কি বান্দে’র মতো তাঁর বিখ্যাত গানগুলো।
আজ শেষ দিনে মঞ্চ মাতাবেন বাংলাদেশের বারী সিদ্দিকী, সুনীল কর্মকার, ইসলাম উদ্দিন কিসসাকার, তাপস ও তাঁর বন্ধুরা। এ ছাড়া থাকছে ভারতের নুরান সিস্টার্সের সঙ্গীত। গাইবেন যুক্তরাজ্যের স্যাম মিলস ও সুসিলা রহমান। প্রখ্যাত বাউল শিল্পী পবন দাস বাউলের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসবের।