শেষটাই আক্ষেপ হয়ে রইল বাংলাদেশের
ইমরুল কায়েসের চোট আর শেষ বিকেলে তামিম, মাহমুদউল্লাহ আর মিরাজ আউট হওয়ায় ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে কিছুটা ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে মুশফিকরা অবশ্য এগিয়ে আছেন ১২২ রানের ব্যবধানে। তবে দিনের শেষপর্যায়ে তিনটি আউট আক্ষেপ হয়েই থাকবে বাংলাদেশ সমর্থকদের জন্য।
কিউইদের ৫৩৯ রানে অলআউট করে দিয়ে ৫৬ রানের লিডটাকে বড় করে চলছিলেন তামিম-ইমরুল। দুর্দান্ত খেলছিলেন এ দুজন। দলের রান তখন ৪৬। লিডটা কেবল শতরানের কোটা পেরিয়েছে। নেইল ওয়াগনারের করা ১৩তম ওভারে রান নিতে গিয়ে চোট পান ইমরুল কায়েস। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়। এর পরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কোমরে ব্যথা পেয়েছেন তিনি। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরবেন কি না, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।
এরপরই ছোটখাটো একটা ব্যাটিং ধস। দলীয় ৫০ রানে স্যান্টনারের বলে বোল্ড হন তামিম। ৬৩ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগের বলে মেহেদি হাসান মিরাজ পড়েন রানআউটের ফাঁদে। দিন শেষে ইমরুলের ইনজুরিসহ তিন উইকেট হারানোর কারণে কিছুটা চাপে মুশফিকের দল। প্রথম ইনিংসে আঙুলে চোট পাওয়া মুশফিক যদি ব্যাটিং না করেন, তাহলে কিন্তু সেটা বাংলাদেশ দলের জন্য চরম দুঃসংবাদই হবে।
এর আগে তৃতীয় দিনের ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকদের স্কোরটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন টম ল্যাথাম ও হেনরি। কিন্তু দলীয় ৩৪৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ফেরান হেনরি নিকোলসকে। তখন তাঁর সংগ্রহ ছিল ৫৩ রান।
৯৮ ওভারে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কলিনকে আউট করেন পেসার শুভাশীষ রায়। ক্যাচ ধরেন উইকেট সামলানোর দায়িত্বে থাকা ইমরুল কায়েস। কলিন ১৬ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এর মধ্যে তাঁর একটি ছক্কা ও একটি চারের মার ছিল।
নিউজিল্যান্ড এই বড় সংগ্রহ এনে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা টম ল্যাথাম ফিরে যান সাকিবের এক ঘূর্ণির শিকার হয়ে। ইনিংসের ১১১তম ওভারের পঞ্চম বলে তাঁকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তাই ডাবল সেঞ্চুরি করা হয়নি এই কিউই ওপেনারের। সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি করেন ১৭৭ রান। ৩২৯ বল খরচ করে ১৮ চার ও একটি ছক্কায় এ ইনিংস সাজান তিনি।
এর পর জোড়া আঘাত হানেন মাহমুদউল্লাহ। একই ওভারে তিনি ফিরিয়েছেন ওয়াটলিং ও টিম সাউদিকে। মাহমুদউল্লাহর খাটো লেন্থের একটি বলে ইমরুল কায়েসের গ্লাভসবন্দি হন বিজে ওয়াটলিং। সজোরে আবেদন জানান টাইগার ফিল্ডাররা। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। আর তাতেই আউট হন ওয়াটলিং।
দলের রান তখন ৪৭১। এর কয়েক বল ব্যবধানে টিম সাউদিকেও ফেরান মাহমুদউল্লাহ। উইকেটে এসে বেশ ভালোই খেলছিলেন নেইল ওয়াগনার। তবে কামরুল ইসলাম রাব্বির পেস ও বাউন্সে নাজেহাল হয়ে আউট হন ওয়াগনার। ৩১ বলে ১৮ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৩৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।