ফতোয়ার প্রতিবাদে ন্যাড়া হলেন সোনু নিগম
মসজিদের আজানে ঘুম ভেঙে যাওয়ার প্রতিবাদ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যিনি ঝড় তুলেছেন, সেই বলিউড গায়ক সোনু নিগম তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা ফতোয়ার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছেন।
গতকাল বুধবার এ ঘটনার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ধর্মীয় নেতা সৈয়দ শাহ আতেফ আলি আল কাদেরি ঘোষণা করেছিলেন, যে সোনু নিগমের মাথা কামিয়ে পুরোনো জুতার মালা তাঁর গলায় ঝুলিয়ে সারা ভারত ঘোরাতে পারবে, তাঁকে তিনি ১০ লাখ রুপির ইনাম দেবেন।
সেই খবর চোখে পড়ার পর বুধবার সকালে সোনু নিগম নিজেই আবার টুইট করেন, ‘আজ দুপুর ২টায় আলিম আমার বাড়িতে এসে মাথা কামিয়ে দেবেন। মৌলভি, তোমার ১০ লাখ তৈরি রাখো।’ সেই মাথা কামানোর ঘটনা দেখার জন্য সংবাদমাধ্যমকেও বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ঠিক দুপুর ২টায় আলিম হাকিম আসেন সোনু নিগমের মুম্বাইয়ের বাড়িতে এবং মিডিয়ার ক্যামেরার সামনেই তাঁকে পুরো ন্যাড়া করে দেন। সোনু নিগম তখন বলেন, ‘মাথা কামানো মানে কোনো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া বা নেগেটিভিটির বার্তা দেওয়া নয়।’
‘কিন্তু এটা অবশ্যই একটা প্রতীকী পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে আমি বলতে চাইছি, দেশটাকে আপনারা কোথায় নিয়ে যেতে চাইছেন? এসব ফতোয়ার অর্থ কী?’, যোগ করেন বলিউড গায়ক।
এর আগে সোমবার ভোররাতে লাউডস্পিকারে আজানের আওয়াজে তাঁর ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সোনু নিগম যে টুইট করেন, তা নিয়ে সারা ভারতে তোলপাড় শুরু হয়।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমি মুসলিম না। তাহলে কেন আজানের শব্দে আমার ঘুম ভাঙানো হবে?’
এরপর সোনু নিগম মসজিদে মাইক ব্যবহারের বিরুদ্ধেও কিছু মন্তব্য করে একে ‘ধর্মবোধ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া’ বলে বর্ণনা করেন। তবে সোনু নিগম শুধু আজানের বিরুদ্ধেই টুইট করেননি। তিনি মন্দির ও গুরুদুয়ারাতেও লাউডস্পিকারের শব্দদূষণের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন।
এ মন্তব্যের পর টুইটারে সোনু নিগমের পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয় জোর বিতর্ক। অনেকেই তাঁকে ‘মুসলমানবিরোধী’ বলে বর্ণনা করেন।
আবার অনেকেই বলেন, সোনু নিগম ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। তিনি শুধু মসজিদে মাইক ব্যবহারের বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন।