মিসরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ৪২
মিসরের উপকূলীয় শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর একটি ট্রেনের অংশবিশেষ উল্টে গেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে হতাহত ব্যক্তিদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, আলেকজান্দ্রিয়া শহরতলীর একটি স্টেশনে আসার আগ মুহূর্তে ট্রেন দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ধাক্কা খেয়ে গণপরিবহন দুটি শূন্যে ওঠে পিরামিডের মতো হয়ে যায়।
মিসরের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলেকজান্দ্রিয়ার খোরশিদ স্টেশনের কাছে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন ও অপরটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
মিসরের পরিবহনমন্ত্রী হিশাম আরাফাত বলেন, ‘মানবীয় ভুল’ এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তবে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার বিস্তারিত কিছুই জানাননি তিনি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা এড়াতে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।’
মিসরের সড়ক ও রেলপথে দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। দেশটির সরকার সড়কপথে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জনগণের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কায়রোর দক্ষিণে কংক্রিটের একটি বিভাজকে লেগে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে ট্রেন ও স্কুলশিশুদের বহনকারী বাসের সংঘর্ষে কায়রোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়।
২০১৩ সালে দেশটির গিজায় সামরিক বাহিনীর সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের বহনকারী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৯ জন নিহত ও ১০৩ জন আহত হন। এ ছাড়া ২০১২ সালে কায়রোর দক্ষিণে রেলক্রসিংয়ে স্কুলবাসের সঙ্গে এক ট্রেনের সংঘর্ষে ৫০ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই শিশু।
মিসরে রেলপথে বড় ধরনের প্রাণহানি শুরু হয় ২০০২ সালে। সেই বছর একটি ট্রেনে আগুনে ৩৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।