আমি তো কোনো পলাতক আসামি নই : সালাহ উদ্দিন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারপোল। এটা গভর্নমেন্টের (সরকারের) উচিত হয়নি।’
urgentPhoto
আজ সোমবার সিটি স্ক্যান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন ভারতের মেঘালয়ের শিলং সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। শিলংয়ে আটক থাকা অবস্থায় আজই প্রথম ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পেরেছেন তিনি। তবে বেশিক্ষণ তা চলতে দেয়নি পুলিশ।
সাংবাদিকরা শারীরিক অবস্থা ও অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি তো কোনো দাগি, অ্যাবসকন্ডিং (পলাতক) কোনো আসামি নই। তো, কেন করছে, আমি তো জানি না।’
স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে পুলিশের কাছে নিয়ে গিয়েছিল কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি হেল্প চেয়েছিলাম। তারা ফোন-টোন করে (পুলিশ) নিয়ে এসেছে।’
খুব দ্রুত সালাহ উদ্দিন দেশে ফিরতে চান উল্লেখ করে সাংবাদিকদের জানান, তিনি স্বেচ্ছায় শিলং যাননি । তাঁর চোখ ও হাত বেঁধে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সেখানে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ফোনে সালাহ উদ্দিনের শারীরিক অবস্থা এখনো স্বাভাবিক নয় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ওনার কিডনিতে মারাত্মক সমস্যা, ওনার স্কিনে সমস্যা, ওনার হার্টেও সমস্যা আছে এবং ওনার শরীর অত্যন্ত দুর্বল। সেই জিনিসগুলোই ডাক্তাররা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সেগুলোর জন্য বিভিন্ন টেস্ট করা হচ্ছে। টেস্টের রেজাল্ট মোতাবেক ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
গত মঙ্গলবার থেকে শিলং সিভিল হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জি কে গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে সালাহ উদ্দিনের। এর আগে আজ করা সিটিস্ক্যানসহ অন্য কয়েকটি পরীক্ষার রিপোর্টের ওপরই নির্ভর করছে তাঁকে ঠিক কখন বা কবে আদালতে হাজির করা হবে বলে শিলংয়ের পুলিশ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ গতকাল রাতেই কলকাতা পৌঁছেছেন। গৌহাটি হয়ে স্থানীয় সময় আজ বিকেল ৪টার মধ্যে তাঁর শিলং পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সালাহ উদ্দিনের ভগ্নিপতি মাহবুবুল কবির মুনমুন।
গত ১২ মে সালাহ উদ্দিনকে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাঁকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে মেঘালয় পুলিশ।