উদরপূর্তি
ব্যস্ত ঢাকায় নিরিবিলি সেভেনহিল রেস্টুরেন্ট
আলো-আঁধারির মাঝে সুস্বাদু খাবারের ঘ্রাণ! তাও আবার একটা-দুইটা ডিশ নয়, সাজানো থাকে টক-ঝাল-মিষ্টির কয়েক পদ। যার পরিবেশনায় থাকে ভিন্নতা, আর স্বাদেও অতুলনীয়। নগরীর ব্যস্ততার মাঝে একটু নিরিবিলি পরিবেশে খেতে, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চলে যেতে পারেন সেভেনহিল রেস্টুরেন্টে।
সেভেনহিল ফ্যামিলি স্টাইল রেস্টুরেন্টের মধ্যে একটি। এখানে তিনটি বিভাগে খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। বুফে, এলাকার্ড ও ফিক্সড মেন্যু। এখানে থাই, চায়নিজ, ইন্ডিয়ান এবং ফিউসন ফুড মেন্যু পরিবেশন করা হয়। সব ধরনের পার্টির আয়োজন করা হয়ে থাকে এই রেস্টুরেন্টে। যেমন- জন্মদিন, বিয়ে, বৌভাত, কনফারেন্স, সেমিনার, গেট টুগেদার। সঙ্গে রয়েছে ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থা।
সেভেনহিল রেস্টুরেন্টের অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. মাসুম পারভেজ বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি খাবারের মান ভালো রাখার। আমাদের রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন ফ্রেশ খাবার পরিবেশন করা হয়। যেসব খাবার প্রিজার্ভ করতে হয়, সেগুলো স্টোরেজ করার সময় অন্তত ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে রাখি, যাতে খাবারে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে না পারে।’
বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন ছাড়াও এই রেস্টুরেন্টে রমজানের ইফতার এবং সেহরির জন্য বুফের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে আপনি পাবেন ট্র্যাডিশনাল খাবার খাওয়ার হরেক রকম মেন্যু।
বুফের দামটাও প্রায় হাতের নাগালে। দুপুরের খাবার খেতে পারবেন ৫৫০ টাকায় (৪০টি মেনু), রাতের খাবার ৬৭৫ টাকা (৬০টি মেনু), ইফতার ও রাতের খাবার ৬৭৫ টাকা (৬০টি মেনু), সেহরি খেতে পারবেন ৬৫০ টাকায় (৩০টি মেনু) এবং সাঙ্গে পাবেন ইফতার বক্স, যার দাম পড়বে ২৫০ টাকা থেকে ৩৯৯ টাকা।
তাই রেস্টুরেন্টে খেতে চাইলে একবার ঢুঁ মেরে আসতে পারেন রাজধানীর বাংলামোটর, সোনারগাঁও রোডে অবস্থিত সেভেনহিল রেস্টুরেন্ট থেকে। একটু ভিন্ন পরিবেশে খাবারের স্বাদ নিলে ক্ষতি কি!
সেভেন হিল স্পেশাল রেসিপি
গ্রিল চিকেন
উপকরণ
একটি আস্ত মুরগি, হলুদ এক চা চামচ, সরিষা বাটা এক চা চামচ, পুদিনা পাতা বাটা এক চা চামচ, টকদই দুই টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া সামান্য, কালো গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া, আধা চা চামচ, জিরার গুঁড়া আধা চা চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, লেবুর রস এক টেবিল চামচ, আদা-রসুনের পেস্ট এক টেবিল চামচ এবং লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে মুরগি বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মুরগিতে এই মিশ্রণ ভালোভাবে মেখে দুই থেকে ছয় ঘণ্টা চিলারে ঠান্ডা তাপমাত্রায় (পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে) রাখতে হবে। রান্না করার জন্য ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ঠিক রেখে রান্না করতে হবে। ওভেন না থাকলে ফ্রাই প্যানে ঢাকনা দিয়ে এক ঘণ্টা রান্না করতে পারেন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল দারুণ সুস্বাদু গ্রিল চিকেন।
স্টিম ফিশ
উপকরণ
আস্ত মাছ (সাগরের যেকোনো বড় মাছ) এক কেজি, লেবুর রস এক টেবিল চামচ, সরিষার তেল এক টেবিল চামচ, সাদা সরিষা বাটা এক চা চামচ, সাদা রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদের গুঁড়া আদা চা চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা আদা চা চামচ, জিরার গুঁড়া আধা চা চামচ, টমেটো পেস্ট এক চা চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে মাছ বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। চাইলে দুই চামচ পানি মেশাতে পারেন। এবার মাছের ওপর পুরো মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে মেখে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রেখে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত মেরিনেটের জন্য রেখে দিন। এবার একটি স্টিম কড়াইয়ের ওপর মেরিনেট করা মাছটি রেখে এক ঘণ্টা স্টিমে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি পাত্রে ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের স্টিম ফিশ।
বিটরুট রাইস
উপকরণ
পোলাওর চাল দুই কাপ, মাখন বা তেল সামান্য, বিট রুট কুচি দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি দুই টেবিল চামচ, আদা-রসুন বাটা এক চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা এক চা চামচ, লবণ স্বাদমতো এবং ধনেপাতা সাজানোর জন্য।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে চাল আধা সিদ্ধ করে নিন। এবার একটি প্যানে তেল অথবা মাখন দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। বাদামি হয়ে গেলে এতে আদা-রসুন বাটা, কাঁচামরিচ বাটা ও লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। কষানো হয়ে গেলে এতে বিটরুট দিয়ে নাড়তে থাকুন। তিন-চার মিনিট পর এতে সিদ্ধ করা চাল দিয়ে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। চাল ও বিটরুট সিদ্ধ হলে চুলা থেকে নামিয়ে প্লেটে ঢেলে ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার বিটরুট রাইস।