অভিনেত্রী তৃপ্তির প্রিয় খাবার ‘চাইসু ভাত’, জেনে নিন রান্নার পদ্ধতি
মুক্তি পাচ্ছে ‘ভুলভুলাইয়া ৩’। ‘ভুলভুলাইয়া’র সিক্যুয়েলে নতুন মুখ হিসেবে দেখা যাবে অভিনেত্রী তৃপ্তি ডিমরিকে। ‘বুলবুল’, ‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো সিনেমা রয়েছে তৃপ্তির ভাণ্ডারে। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর সৌন্দর্যেও মুগ্ধ নেটিজেনরা।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এলো তার পছন্দের খাবার। অভিনেত্রীরা কী খান, ত্বকে কী ব্যবহার করেন, তা নিয়ে সব সময়ই কৌতূহল থাকে ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে। অনেকেই মনে করেন, তাদের খাদ্য তালিকায় ভাত, ডালের মতো সাধারণ খাবার থাকে না। তবে সকলকে অবাক করে দিয়ে নায়িকা জানিয়েছেন, তাঁর প্রিয় খাবার ‘চাইসু ভাত’।
এই পদটি উত্তর ভারতে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গাড়োয়ালে বেশ জনপ্রিয়। আর তৃপ্তিও সেখানকারই মেয়ে। তাঁর জন্ম উত্তরাখণ্ডে। একটি পডকাস্টে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি গাড়োয়ালের খাবার খেতে ভালবাসেন। তৃপ্তি বলেন, ‘পাহাড়ের খাবার মানেই ‘চাইসু ভাত’। কালো ডাল গুঁড়ো করে রান্নাটি করা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় গরম ভাত আর ঘি।’
বলিউডের চর্চিত অভিনেত্রী হলেও কিন্তু রান্না করতে পারেন ‘গাড়োয়ালি কন্যা’। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
চাইসু ভাত
অভিনেত্রীর পছন্দের খাবার চাইসু ভাত। আসলে কী এই খাবার? গাড়োয়ালে ডাল-ভাতকেই চাইসু ভাত বলা হয়। চাইসু হল ডাল। খোসা-সহ বিউলির ডাল ব্যবহার করা হয় এই পদে। তবে এর প্রস্তুত প্রণালী আলাদা।
এই খাবারের পুষ্টিগুণও যথেষ্ট। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট— সবটাই মেলে এই পদে। আপনিও কি চেখে দেখতে চান চাইসু ভাত? গাড়োয়াল বা উত্তরাখণ্ডে যাওয়া সম্ভব না হলে, বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন এটি।
উপকরণ
আধ কাপ খোসা-সহ কালো বিউলির ডাল
একটি ছোট পেঁয়াজ কুচি
২-৩টি কাঁচালঙ্কা কুচি
৪-৫ কোয়া রসুন বাটা
এক টেবিল চামচ ঘি
এক চা-চামচ জিরা
সামান্য হিং
আধা চামচ হলুদ গুঁড়া
জাম্বু বা জিম্বু মসলা ( উত্তরাখণ্ডে উৎপাদিত ভেষজ)
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে কালো ডাল একটি কড়াইতে তেল ছাড়া নাড়াচাড়া করে নিন। তারপর সেটি গুঁড়িয়ে নিতে হবে। গুঁড়িয়ে নেওয়ার পর সেটি একবার ছেঁকে নিলে খাবারের স্বাদ আরও ভালো হবে। পাহাড়ে রান্নাটি লোহার কড়ায় করা হয়। কড়ায় তেল অথবা ঘি দিয়ে তাতে একে একে জিরা, হিং, শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিয়ে স্বাদমতো হলুদ, জাম্বু মসলা, রসুন বাটা দিয়ে দিন।
একটু ভাজা ভাজা হয়ে গেলে মিশিয়ে দিতে হবে গুঁড়ো করা ডাল। খানিকটা নাড়াচাড়ার পর দিয়ে দিন পরিমাণ মতো পানি। স্বাদমতো লবণ যোগ করুন। ডাল ফুটতে দিন। এই সময় আঁচ কমিয়ে ক্রমাগত তা নাড়াচাড়া করতে হবে। না হলে নিচের দিক পুড়ে যেতে পারে। এভাবে ১৫-২০ মিনিট পর ডাল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।