তারকার প্রথম
শিক্ষকদেরও খামচি-চিমটি দিয়েছি : পরী মণি
পরী মণি এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছেন জনপ্রিয়তার সুবাস। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে, বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় এই নায়িকার। তার পরও সময় বের করে তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানালেন তাঁর ‘প্রথম’ সবকিছুর খবর। সব না হলেও চলুন কিছু ‘প্রথম’-এর কথা জানি পরী মণির।
প্রথম স্কুল
ভগিরাতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আমার নানু শামসুল হক গাজী। তিনি আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
প্রথম শিক্ষক
আমার নানু। নানু ছাড়া আমাকে কেউ পড়াতে পারতেন না। কারণ, আমি ভীষণ দুষ্টু ছিলাম। শিক্ষকদেরও অনেক সময় খামচি-চিমটি দিয়েছি।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র
শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’।
প্রথম পারিশ্রমিক
সাড়ে তিন লাখ টাকা। প্রথম ছবিতে অভিনয় করে এ টাকা আমি পেয়েছি। আর একবারে টাকাটা পাইনি। ধীরে ধীরে পেয়েছি। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরপর যে টাকাটা পেয়েছি, সেটা দিয়ে বাসার সবার জন্য মিষ্টি কিনেছিলাম। এর পর ১০ জন এতিম শিশুর জন্য কিছু উপহারসহ ভূতের কিছু বই কিনে তাদের দিয়েছিলাম। আমি এই ১০টা এতিম শিশুর নিয়মিত হাতখরচও দিই। এর পর যখন বাকি টাকা পেয়েছিলাম, তখন সামনে ঈদ ছিল। সেই টাকা দিয়ে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করেছিলাম।
প্রথম পড়া বই
আদর্শলিপি প্রথমে পড়েছিলাম।
প্রথম প্রেম
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমাদের বাসায় রবীন্দ্রনাথের আঁকা একটা ছবি ছিল। সেই ছবি দেখে আমি তাঁর প্রেমে পড়ে যাই। তখনো তাঁর কোনো লেখা আমার পড়া হয়নি। আমার আর্ট শিক্ষক প্রথম আমাকে বাসায় আর্ট শেখাতে এসে প্রথমে পতাকা আঁকার কথা বলেছিলেন; কিন্তু আমি স্যারকে বলেছিলাম, ‘স্যার, আমি এখন রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকতে চাই।’ তখন স্যার আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন তাঁর ছবি আঁকতে চাও? উত্তরে আমি বলেছিলাম, ‘রবীন্দ্রনাথ আমার প্রেমিক।’ রবীন্দ্রনাথের কোনো চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেলে খুব খুশি হব। আমার বেডরুম থেকে শুরু করে ওয়াশরুম পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি টানানো রয়েছে।
প্রথম পরা শাড়ি
একদিন বৃষ্টির দিন নানু আমার জন্য একটা শাড়ি কিনে নিয়ে এসেছিল। ঘটনাটা বলি, সেদিন আমি নানুর সঙ্গে বায়না ধরেছিলাম, নানু, তোমার সঙ্গে বাইরে যাব। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আমাকে নানু সঙ্গে নিতে পারেননি। তখন নানু আমাকে বলেছিলেন, আমি শুধু বাজারে যাব, আর কোনো কাজ করব না। তখন নানুকে আমি বলি, আমার জন্য তাহলে তুমি কী নিয়ে আসবে? উত্তরে নানু বলেছিলেন, তোমার জন্য আমি লাল টুকটুকে একটা শাড়ি নিয়ে আসব। তার পর নানু আমার জন্য লাল একটা শাড়ি কিনে আনেন। সেদিন শাড়িটা পরে সবাইকে বলেছিলাম, দেখ সবাই, আমি তো বিয়ে করে ফেলেছি। তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। অত কিছু বুঝতাম না। এখনো সেই লাল শাড়ি আমার আলমারিতে তোলা আছে।