রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ১৯ জানুয়ারি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় সচিব পর্যায়ে ত্রিদেশীয় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যকার এ আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সর্বশেষ গত বছরের ২০ জানুয়ারি এই জাতীয় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিল।
ইতোমধ্যে মিয়ানমারকে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হলেও নেপিডোর কাছ থেকে আশানুরুপ সাড়া মিলছে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর লালমাটিয়ায় একটি অনুষ্ঠান শেষে এ কথা জানান তিনি।
লালমাটিয়ায় সুরের ধারা আয়োজিত পৌষ উৎসব শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের সর্বশেষ পরিস্থিতি। তিনি জানান, কয়েক ধাপ পেছানোর পর আগামী ১৯ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় চীনের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হবে ত্রিপক্ষীয় সচিব পর্যায়ের বৈঠক।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘চাইনিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মুহূর্তে মিয়ানমার সফরে গেছেন। তো সেই কারণে তারা বলছে যে উনার সাথে আলাপের পরে তো ১৯ তারিখে এখন মিটিংটা হবে। আশা করি, এটা ফলপ্রসূ হবে।’
বেইজিং হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘না, ঢাকায় হবে। বৈঠকে চাইনিজ প্রতিনিধি থাকবেন, মিয়ানমারের প্রতিনিধি থাকবেন, আমাদের প্রতিনিধি থাকবেন।’
কোন লেভেলের বৈঠক জানতে চাইলে ‘সেক্রেটারি (সচিব) লেভেলে’ হবে বলে জানান আবদুল মোমেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করা সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা ইতোমধ্যে কয়েক ধাপে মিয়ানমারকে দেওয়া হলেও, সেদেশ থেকে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা সর্বমোট সাড়ে আট লক্ষ সাবমিট করেছি। কিন্তু আনফরচুনেটলি মিয়ানমার খুব কম সংখ্যককে ভেরিফায়েড করেছে। তারা খুব স্লো। মাত্র ৪২ হাজার ফাইনালি তারা করেছে। আন্তরিকতার বড় অভাব। তারা তো এমনিতে কোনো উত্তর দেয় না। খালি শুনে আর পরে জানাবে বলে।’
মিয়ানমারের রাখাইনে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।