জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির সাত দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল হক ওরফে রেজা ওরফে তানভীর মাহমুদ ওরফে শিহাব আহনাফের (৩৭) সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম এই আদেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি শিহাবকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামিকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেজাউল হককে গ্রেপ্তার করে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এরপর রাজধানীর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।
সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘২০০৫ সালে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায়ও রেজাউল হক জড়িত ছিলেন। সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ওই বছর গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত হন জেএমবির এই ভারপ্রাপ্ত আমির।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমিরের পদ ছাড়াও রেজাউল সংগঠনটির দাওয়াহ এবং বায়তুলমাল বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তিনি মূলত জেএমবির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনের নির্দেশনায় বর্তমানে সংগঠনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সালেহীন অনেক দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক।’
রহমত উল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রেজাউল বর্তমানে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সংগঠনটির একমাত্র শুরা সদস্যও তিনি। অনেক দিন পর জেএমবির শীর্ষ কোনো নেতা ধরা পড়ল। সর্বশেষ জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খুরশিদ আলম। ২০১৮ সালের দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান তিনি।’