আলিয়া ভাটের ডাকনাম ‘আলু’!
বলিউডে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির মাধ্যমে দর্শকদের সামনে নায়িকা হিসেবে আবির্ভূত হন আলিয়া ভাট। বাবা পরিচালক আর মা অভিনেত্রী। অনেকেই তাই ভাবতে পারেন, আলিয়ার জন্য বলিউডে প্রবেশ একেবারেই কঠিন ছিল না। কিন্তু আসলে আর সবার মতোই অডিশন দিয়ে প্রথম ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন আলিয়া। আর বাবা পরিচালক-প্রযোজক হলেও এখন পর্যন্ত বাবার কোনো ছবিতে অভিনয় করেননি বর্তমানের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তো তাঁকে নিয়ে ইদানীং দর্শকদের কৌতূহল বেড়েই চলেছে, উঠতি নায়িকা বলে কথা! চলুন জেনে নিই আলিয়া সম্পর্কে ১০ মজার তথ্য। তথ্যগুলো দিয়েছে মুভি রিভিউ প্রিভিউ ডটকম।
১. আলিয়া ভাট সব সময়ই একটু মা-ঘেঁষা। আলিয়ার মা অভিনেত্রী সোনি রাজদান আর বাবা চিত্রনির্মাতা মহেশ ভাট।
২. অনেকেই মনে করে থাকেন, ২০১২ সালে করন জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবিটিই বুঝি আলিয়ার প্রথম বলিউডি ছবি। কিন্তু আলিয়া বলিউডে প্রথম অভিনয় করেছিলেন মাত্র ছয় বছর বয়সে, ১৯৯৯ সালে ‘সংঘর্ষ’ ছবিতে। থ্রিলার ঘরানার এই ছবিতে নায়িকা প্রীতি জিনতার ছোটবেলার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল আলিয়াকে।
৩. বাবার ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রাখতে চাননি আলিয়া। করন জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির ‘শানায়া’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অডিশন দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরো ৪০০ মেয়ে ওই চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিল। তবে পরিচালক করন জোহর নির্বাচিত করেন আলিয়াকে। তবে করনের শর্ত ছিল, শানায়ার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৬ কেজি ওজন কমাতে হবে। আর সেই শর্ত মেনেই নিজের প্রথম ছবিতে অভিনয় করেন আলিয়া।
৪. অভিনয়ের বাইরে অবসরে চারকোল পেইন্টিং করতে পছন্দ করেন আলিয়া ভাট। এ ছাড়া খুব ভালো হ্যান্ডবল খেলেন তিনি।
৫. আলিয়ার বাবা মহেশ ভাট একজন গুজরাটি। আর মা সোনি রাজদান কাশ্মীরি এবং জার্মান বাবা-মায়ের সন্তান। সেই সূত্রে আলিয়া ভাট গুজরাটি-কাশ্মীরি এবং জার্মান উত্তরাধিকার বহন করছেন।
৬. বলিউড অভিনেতা এমরান হাশমি ও পরিচালক মোহিত সুরি হচ্ছেন আলিয়া ভাটের চাচাতো ভাই।
৭. আলিয়া ভাটের ডাক নাম ‘আলু’! পরিবারের লোকজন আদর করে তাঁকে এই নামেই ডাকে।
৮. আলিয়া ভাটকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই প্রজন্মের কোন অভিনেত্রীকে তিনি নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন? আলিয়ার জবাব, পরিণীতি চোপড়া।
৯. ছেলেদের পারফিউম আলিয়ার বেশি পছন্দ। মাঝে মাঝে সেগুলো ব্যবহারও করেন তিনি।
১০. আলিয়ার পছন্দের খাবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর টকদই।