ইতিহাস-ঐতিহ্যে ঘেরা কবির পাটোয়ারী জামে মসজিদ

নোয়াখালীর সদর মাইজদী থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার পূর্বে কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের কবির পাটোয়ারী বাড়ির পার্শ্বে বিখ্যাত এই কবির পাটোয়ারী জামে মসজিদটি অবস্থিত। তৎকালীন এই এলাকার জমিদার কবির মোহাম্মদ ভূঁইয়া ও পরান গাজী ভূঁইয়া দুই ভাই মিলে কবির পাটোয়ারী নামে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। কবিরহাট উপজেলা ও কবিহাট বাজার তার নামেই নামকরণ করা হয়। মসজিদটি মুঘল আমলের ১৮০৭ সালে তিনটি গম্বুজ বিশিষ্টে তৈরি করা হয়েছে। ২০১৮ বছরের পুরোনো এই মসজিদটির ভিতরে বিভিন্ন ফুল, লতা-পাতা দিয়ে কারুকার্যে খচিত করা হয়েছে।
মসজিদের দেয়ালগুলো প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ফিট চওড়া। এতে তিনটি দরজা ও দুটি জানালা রয়েছে। মসজিদের ভিতরে তিন কাতার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে। ভিতরে জায়গার যথেষ্ট না হওয়ায় মসজিদের বাহিরের অংশে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মসজিদের সামনে একটি বিশাল আকারের দিঘী রয়েছে, যা মসজিদের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
কথিত রয়েছে, কলকাতা থেকে এই মসজিদটি নির্মাণ করার জন্য একদল মিস্ত্রি এখানে আসেন, তখন তারা এখানে এসে একটি কাঁঠাল খেয়ে ওই কাঁঠালের বীজ বপণ করেন, সর্বশেষ তারা যাওয়ার সময় ওই গাছের কাঁঠাল খেয়ে তারা কাজ শেষ করে এখান থেকে বিদায় হন। মসজিদ নির্মাণ করার পর থেকে আজও স্থাপত্য শিল্পের বিরল ও উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে বিরাজমান। সুদৃশ্য মার্বেল পাথর দ্বারা গম্বুজগুলো সুশোভিত করা হয়। মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি ধনুকাকৃতি দরজা। মসজিদের প্রবেশপথের ওপর রয়েছে তিনটি গম্বুজ। কেবলা দেওয়ালে তিনটি কারুকার্য খচিত মিহরাব রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, মসজিদটিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগের অধীনে ঐতিহ্যবাহী মসজিদ হিসেবে যেন স্বীকৃতি দেওয়া হয়।