ঘূর্ণিঝড়ে আমার বাড়ি বিধ্বস্ত, কেঁদে বললেন নিউজিল্যান্ডের পেসার
গত সপ্তাহেই নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে টেস্ট অভিষেক হয় ব্লেয়ার টিকনারের। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড হারলেও চার উইকেট নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। জাতীয় দলে অভিষেকের সুখের সেই মুহূর্তটি আর সুখকর হলো না এই পেসারের জন্য। দেশটিতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে টিকনারের বাড়ি।
বেশ কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল। ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু ঘরবাড়ি, স্থাপনা। পানিতে তলিয়ে যায় ফসলি জমিও। টিকনারের বাড়িও সেই অঞ্চলেই। আর তাই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার বাড়িও।
পরিবারের সেই দুঃসময়ে পাশে থাকার সুযোগ পাননি টিকনার। ঘটনার দুই দিন পর পরিবারের কাছে যাওয়ার সুযোগ পান তিনি। সেখানে সবার সাথে দেখার করার পর বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দলের সঙ্গে যোগ দেন এই পেসার। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেন এই কিউই পেসার। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
টিকনার বলেন, ‘আমাদের বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। পরিবারকে সহায়তা করতে বাড়িতে যাওয়াটা দরকার ছিল। পুরো এলাকার মানুষ কঠিন সময় পার করছেন। যে যেভাবে পারছি, প্রতিবেশিদের সহায়তা করছি। আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ সেন্ট্রাল স্ট্যাগস (তার ঘরোয়া দল) এগিয়ে এসেছিল। ক্রিকেট আমাদের জীবনের অংশ, তবে এই পরিস্থিতির চেয়ে বড় নয়।’
টিকনার আরও বলেন, ‘প্রথম টেস্ট শুরুর আগেই আমার এলাকার অধিকাংশ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বহু মানুষের খোঁজ মিলছিল না। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। তিনি চেয়েছিলেন আমি আমার পরিবারের হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করি। আমি তাকে না বলতে পারিনি। জানতাম খেলা শেষে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
নিউজিল্যান্ডে ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জন মানুষ মারা গেছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপের শহর অকল্যান্ড, হকস বে, নর্থল্যান্ড, কোরেমান্ডেল ও গিসবোর্ন। ২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চে ভূমিকম্পের পর ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দেশটির সরকার এখনও জরুরি অবস্থা জারি রেখেছে।