যুক্তরাষ্ট্র থেকে গতকাল রোববার দেশে ফিরেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ এক বছর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকায় ক্রিকেটে নিজের প্রত্যাববর্তন সহজ হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব।

দেশের মাটিতে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ফাইনালের আগে শ্বশুরের অসুস্থতার খবরে ফাইনাল ম্যাচ না খেলেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরেন সাকিব। তবে পৌঁছানোর আগেই তাঁর শ্বশুর মারা যান।

এদিকে, এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের মাধ্যমে খেলায় ফিরেছেন সাকিব। নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফেরা বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার নিজেকে তেমনভাবে মেলে ধরতে পারেননি। নয়টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১১০ রান এবং ছয় উইকেট পান তিনি।

গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে সাকিব বলেন, ‘আমি আমার আগের জায়গায় ফিরে আসার আশা করছি, তবে এটি সহজ হবে না। বাংলাদেশের হয়ে খেলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। অবশ্যই সহজ হবে না আমার জন্য। তবে আমি নিজের জায়গা থেকে অবশ্যই চেষ্টা করব।'

কোভিড-১৯ বিরতির পর বিসিবি প্রথম হোম সিরিজের আগে স্কোয়াড ঘোষণা করার পর সাকিব অনুশীলন শুরু করবেন। ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজের জন্য এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ঘোষণা করেছে। তবে নিয়মিত একাদশে খেলা ১২ জন শীর্ষ ক্রিকেটার কোভিড ১৯-এর কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই বাংলাদেশ সফরে আসতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘‌ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে দুটি দল দিয়েছে, আমার কাছে মনে হয় আমরা যদি ভালো করতে না পারি, আমাদের জন্য তা হতাশাজনক হবে। আমি এই সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী।’

এদিকে ঢাকায় ফেরার আগে সাকিব ও তাঁর স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা তৃতীয় সন্তানের মা-বাবা হতে চলেছেন।

মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ২২ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে। তৃতীয় ওয়ানডে এবং প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যথাক্রমে ২৫ জানুয়ারি এবং ৩-৭ ফেব্রুয়ারি হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি দুদলের মধ্যকার শেষ টেস্ট মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে।