ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট মিলিয়ে যেখানে দীপ্তিই প্রথম
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ভারত। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হারমানপ্রীত কৌরের দল। ভারতের এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন দুই অলরাউন্ডার শেফালি ভার্মা ও দীপ্তি শর্মা। টুর্নামেন্টসেরা দীপ্তি ফাইনালে এমন এক কীর্তি গড়েছেন, যা ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেটের ইতহাসে প্রথম।
নাভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্পোর্টস একাডেমি স্টেডিয়ামে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর) ফাইনালে ব্যাট হাতে ৫৮ বলে ৫৮ রান করার পর বল হাতে ৩৯ রান দিয়ে শিকার করেন ৫ উইকেট।
এমনকি প্রোটিয়াদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটাও এসছে দীপ্তির হাত ধরেই। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ফাইনালে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটারকে আউট করেছেন দীপ্তিই।
দীপ্তির এই ম্যাচের পারফরম্যান্স ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে কেউই আগে করতে পারেনি। শুধু ফাইনাল নয়, প্রাথমিক পর্ব ও নকআউট মিলিয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো এমন কীর্তির দেখা মিললো।
শেফালি ফাইনালে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন, তবুও দিপ্তির অবদানকে কম গুরুত্ব দেওয়ার কেউ নেই। বরং এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর তার ম্যাচসেরা না হওয়াতে অনেকে অবাকই হতে পারেন।
আসরে সর্বোচ্চ ২২ উইকেট শিকার করেছেন এই অফস্পিনার এবং ব্যাট হাতে তিনটি হাফসেঞ্চুরিতে ৯০.৩৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২১৫ রান। এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই।
বিশ্বকাপের ইতহাসে এক আসরে ২০ উইকেট ও ২০০ রানের এই কীর্তি নেই আর কারো।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্নভঙ্গ, প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত
নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে পাঁচ উইকেট পাওয়া দ্বিতীয় খেলোয়াড় দীপ্তি। এর আগে ইংল্যান্ডের আনিয়া শ্রাবসোল ২০১৭ সালের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।
আসরে দীপ্তির ২২ উইকেট শিকার করাটা নারী বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৮২ সালে লিন ফুলস্টন ২৩ উইকেট ও জ্যাকি লর্ড ২২ উইকেট পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রেকর্ড প্রাইজমানি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের, বাংলাদেশ কত পেল?
টুর্নামেন্টজুড়ে দীপ্তি ছড়িয়ে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোয় বড় ভূমিকা রাখার পর দীপ্তি শর্মা বলেন, ‘সত্যি বলতে, স্বপ্নের মতো অনুভূতি। বিশ্বকাপ ফাইনালে অবদান রাখতে পেরে দারুণ লাগছে। আমাদের দল সবসময় চেষ্টা করে প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে। দল হিসেবে আমরা দারুণ খুশি।’ ২৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার নিজের টুর্নামেন্ট সেরার ট্রফি উৎসর্গ করেছেন তার বাবা-মাকে ।

স্পোর্টস ডেস্ক