ফেদেরারের একটি পরামর্শ বদলে দিল সুইস তরুণীকে
গেমস শুরুর আগেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন রজার ফেদেরার। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞে খেলতে না পারার আক্ষেপ রইল না তাঁর। তাঁরই দেশের এক প্রতিনিধি ঠিকই সাফল্য পেয়েছেন।
টোকিও অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণ জিতলেন সুইস নারী টেনিস খেলোয়াড় বেলিন্দা বেনচিচ। মেয়েদের এককে এই সাফল্য পান তিনি। ফাইনালে বেনচিচ ৭-৫, ২-৬, ৬-৩ সেটে হারান চেক প্রজাতন্ত্রের মার্কেটা ভনড্রউসোভাকে।
অবশ্য বেনচিচের এই সাফল্যের পেছনে নাকি বড় অবদান রয়েছে ফেদেরারের। তিনি এক বার্তা পাঠিয়ে নাকি সুইস তরুণীকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
ফেদেরারের বার্তা পাঠানো সম্পর্কে বেনচিচ বলেন, ‘উনি আমাকে ম্যাসেজ করেছিলেন। বলেছিলেন, স্বপ্ন পূরণের জন্য এর চেয়ে বড় সুযোগ আমার কাছে আর আসবে না। উনার কথা মাথায় রেখেই আমি স্বর্ণ জিততে পেরেছি। উনি সব সুইস খেলোয়াড়দেরই মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করে থাকেন।’
সুইজারল্যান্ডের তারকা আরও বলেন, 'আমাদের দেশের টেনিসের জন্য তারা যা করেছেন, সেটার ধারেকাছে পৌঁছতে পারব কি না জানিনা। আমার এই অর্জন তাদেরকেই উৎসর্গ করলাম।’
ফেদেরার ও ওয়ারিঙ্কা ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকের পুরুষদের ডাবলসে স্বর্ণ জিতেছিলেন। ফেদেরার ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের পুরুষদের সিঙ্গলসের ফাইনালে হেরে রুপা জেতেন।
নারী এককে ইতিহাস গড়ে স্বর্ণপদক জেতেন বেনসিস। প্রথম সুইস নারী হিসেবে তিনি অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছেন। আড়াই ঘণ্টার লড়াই শেষে শেষ হাসিটা হেসেছেন ২৪ বছর বয়সী বেনসিস।
১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিকে পুরুষদের এককে মার্ক রোসেট স্বর্ণ জয়ের পর প্রথম সুইস নারী হিসেবে নবম বাছাই বেনসিস এবারের আসরে স্বর্ণপদক জিতেছেন। ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বেনসিস। এরপর ২০১৭ সালে ইনজুরির কারণে শীর্ষ ৩০০ র্যাঙ্কিং থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। গত বছর করোনার থাবা শুরু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে আসেন তিনি। এর পর থেকে কোনো ডব্লিউটিএ শিরোপা জিততে পারেননি।