বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের ‘ডেড বল’ নিয়ে আইন যা বলে

গতকাল সোমবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। তাই সফরকারীদের কাছে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে লাল-সবুজের দল। এই ম্যাচে জয়-পরাজয়ের চেয়েও একটি বিষয় বেশ আলোচনায় এসেছে, মাহমুদউল্লাহর করা শেষ ওভারটি নিয়ে। বিশেষ করে ‘ডেড বল’ নিয়ে ক্রিকেটের আইন কী বলে, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম নয়।
সে ওভারের শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। মাহমুদউল্লাহর করা বল ক্রিজে ড্রপ করার পর ছেড়ে দেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাওয়াজ।
মাহমুদউল্লাহ বল ছাড়েন উইকেটের বেশ পেছন থেকে। এতেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান নওয়াজ। শেষ মুহূর্তে তিনি বল না খেলে ছেড়ে দেন। বল লাগে স্টাম্পে। তবে নওয়াজ দাবি করেন ‘ডেড বল’। আম্পায়ারও ‘ডেড বল’ সঙ্কেত দেন। মাহমুদউল্লাহ ও বাংলাদেশের ফিল্ডাররা শুরুতে একটু প্রতিবাদ করলেও পরে মেনে নেন।
মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারের বেশ পেছন থেকে বল ছোঁড়েন, যা ক্রিকেটের আইনে বৈধ। ইএসপিএনক্রিকিনফোর বিশ্লেষক হেমান্ত ব্রার লিখেছেন, ‘পোলার্ড এটা নিয়মিতই করতেন। ডেনিস লিলির মতো বোলাররাও আম্পায়ারের পেছন থেকে বল ছেড়েছেন।’
নিয়ম অনুযায়ী, বল খেলার আগ পর্যন্ত নানা কারণে ব্যাটার সরতে পারেন। সামনে দিয়ে কোনো পোকা বা পাখি গেল, সাইটস্ক্রিনের সামনে বা ওপরে কেউ-কিছু নড়াচড়া করল বা মাঠেই কোনো অস্বস্তি, এরকম নানা কিছু।
ক্রিকেট আইনের ২০.৪.২.৫ ধারা অনুযায়ী, যদি বল করার সময় ব্যাটার প্রস্তুত না থাকেন, বল করার পর সেটা খেলার চেষ্টা না করেন, তাহলে সে বল ‘ডেড বল’ হিসেবে গণ্য হবে। আম্পায়ার যদি বিশ্বাস করেন, ওভাবে সরে যাওয়ার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে, তাহলে সে বলকে ওভারের অংশ হিসেবে ধরা হবে না।