‘সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর রাত সত্যিই জাদুকরি’
সান্তিয়াগো বার্নাব্যু মানেই রিয়াল মাদ্রিদের জন্য রূপকথার মঞ্চ। এই মাঠেই চেলসি ও পিএসজির বিপক্ষে রূপকথা লিখেছিল স্বাগতিকরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালেও ব্যতিক্রম হলো না। প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকার পরও রিয়াল লিখেছে ঘুরে দাঁড়ানোরা অবিশ্বাস্য গল্প।
এই ভেন্যুটা যে সত্যিই জাদুকরি—সেটা মনে প্রাণে মানেন রিয়ালের খেলোয়াড়রা। পরিসংখ্যানও যে তাই বলে। ম্যানসিটির মাঠে প্রথম লেগে হারার পরও নিজেদের মাঠ নিয়ে হুঙ্কার দিয়েছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি এবং দলের তারকা খেলোয়াড় করিম বেনজেমা। বলেছিলেন, বার্নাব্যুতে হবে আসল খেলা। সত্যিই সেটাই হলো। সবদিক থেকে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জিতল রিয়াল মাদ্রিদ।
জোড়া গোল করে নায়ক বনে গিয়েছেন ব্রাজিল তারকা রদ্রিগো। জয়ের নায়কের কণ্ঠেও ঝরল বার্নাব্যুর কথা। রদ্রিগো বলেন, ‘এই জার্সি সবসময় শিক্ষা দেয় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যেতে। আমাদের আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই জার্সি আমাদের প্রেরণা জোগায় শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত হাল না ছাড়তে। দলের সবাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। ৯০ মিনিটে প্রথম গোল করার পর চারপাশের কোনো কিছু কানে আসছিল না, কারণ তখনও আমরা পিছিয়ে। এরপর যা হলো,বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। বের্নাবেউয়ের রাত সবসময়ই এমন জাদুকরি।’
দুই গোল করা রদ্রিগো অথচ মাঠে নামার আগেও ছিলেন নার্ভাস। তিনি বলেন, ‘আমি নামার আগে নার্ভাস ছিলাম। বেঞ্চে বসে থাকার সময়টা কখনোই ভালো কিছু নয়। তবে বেঞ্চ থেকেই মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম, ওদের রক্ষণে দুর্বলতা কোথায় আছে। আনচেলত্তি (কোচ) আমাকে বললেন, ‘যাও, গিয়ে গোল করো।’ সেমি-ফাইনালের মতো ম্যাচে দুটি গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে ফাইনালে তুলতে পারায় খুবই খুশি আমি। এটাই আমাদের সত্যিকারের জায়গা-ফাইনাল।’