স্মিথ-ওয়ার্নারকে অধিনায়ক করার পক্ষে ফিঞ্চ
হঠাৎ করেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। এই ফরম্যাট থেকে ফিঞ্চের বিদায়ে নতুন করে অধিনায়ক খুঁজতে হচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ)। সে জন্য নাম আসছে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের। এই দুই তারকাকে নেতৃত্বের ভার দেওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না এতদিন দায়িত্ব পালন করা ফিঞ্চ।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল টেম্পারিংয়ের কারণে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব হারান তখনকার অধিনায়ক স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সে সব ঝামেলার শাস্তি পেয়ে ফের বাইশ গজ মাতাচ্ছেন তারা। তাই তাদের অধিনায়ক করাই যেতে পারে বলে মনে করেন ফিঞ্চ।
এ ব্যাপারে অবসরে যাওয়া অসি তারকা বলেছেন, 'আমার মনে হয় না এটা নিয়ে কোন সমস্যা আছে। কোভিড সংক্রান্ত কারণে প্যাট ছিটকে যাওয়ার পর সে (স্মিথ) অ্যাডিলেইডে টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছিল। তাই আমি মনে করি, পুরনো সেসব সমস্যা মিটে গেছে। আমি কি (তার নিষেধাজ্ঞার) প্রত্যাহার দেখতে চাই? হ্যাঁ, অবশ্যই। একজন খেলোয়াড় হিসেবে সে যা দিতে পারে, শুধু এজন্যই নয়, বরং আগামী প্রজন্মের খেলোয়াড়দের কোচিং করানো ও সাহায্য করার জন্য তার এগিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
ফিঞ্চ আরও বলেছেন, 'ওয়ার্নার যখন অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিল, তখন তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আমি কয়েকটি ম্যাচে খেলেছি। (অধিনায়ক হিসেবে) ওই ম্যাচগুলোয় সে অসাধারণ করেছিল। সে দুর্দান্ত কৌশলী অধিনায়ক এবং সেই সময়ে ছেলেরা তার নেতৃত্বে খেলতে পছন্দ করত।'
এদিকে ফিঞ্চ ওয়ানডে ছাড়লেও টি-টোয়েন্টিতে আছেন। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অসিদের নেতৃত্বও দেবেন তিনি।
অসিদের হয়ে ৫৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফিঞ্চ। এ ছাড়া মোট ১৪৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৭টি সেঞ্চুরি। ওয়ানডে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তারচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের। তার সেঞ্চুরি হলো ২৯টি। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্ক ওয়াহর ১৮টি করে।
২০১৩ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফিঞ্চের। এই ফরম্যাটে ৩৯.১৩ গড়ে ৫ হাজার ৪০১ রান করেছেন ফিঞ্চ। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান অপরাজিত ১৫৩।