হাজার দিন পর পাওয়া সেঞ্চুরি আনুশকাকে উৎসর্গ করলেন কোহলি
পুরোনো ছন্দ ফিরে ফেতে লড়াই করছিলেন লম্বা সময় ধরে। নিজেকে শান্ত রাখতে মাঝে বিরতিও নিয়েছেন বিরাট কোহলি। অবশেষে কোহলির লড়াই পেল পূর্ণতা। এশিয়া কাপের মঞ্চে এসে ফর্ম খরা কাটিয়ে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ১০২০ দিন পর কোহলি ভাসলেন সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে।
আজ বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পান কোহলি। আফগান পেসার ফরিদ আহমাদের পরপর দুই বলে চার-ছক্কা মেরে ৯০ থেকে ৫২ বলে শতকের ঘরে যান সাবেক ভারতীয় তারকা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় তিন বছর পর তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। আর টি-টোয়েন্টিতে পেলেন প্রথমবার। এর আগে সবশেষ তিনি সেঞ্চুরি করতে পেরেছিলেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে। কলকাতায় সেটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে।
টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার ইনিংস উপহার দেওয়া কোহলি আজ খেলেন ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও ছয়টি ছক্কা দিয়ে। তাতে ভারত পায় ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ। যা দিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০১ রানের জয় পায় ভারত।
সেঞ্চুরির পর ইনিংস ব্রেকে কোহলি জানিয়েছেন, এই বয়সে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে তিনি নিজেই অবাক। তাঁর কথায়, ‘গত আড়াই বছর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এক মাসের মধ্যে ৩৪ পূর্ণ করব আমি। বুনো যে উদ্যাপন (সেঞ্চুরির পর), সেগুলো আসলে অতীত এখন। আসলে আমি অবাকই হয়েছি। এ সংস্করণে সেঞ্চুরি পাব, ভাবতেই পারিনি। আসলে অনেক কিছুর সমন্বয় এটি।‘
এর পর স্ত্রী আনুশকা শর্মা ও মেয়ে ভামিকা সেঞ্চুরি উৎসর্গ করেন কোহলি, ‘আমি আজ লকেটে চুমু খেয়েছি; কারণ, আপনি আমাকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছেন শুধু একজনের জন্যই। সে আমাকে অনেক কিছুই অন্যভাবে দেখতে শিখিয়েছে। সে আনুশকা। আমার এই সেঞ্চুরি তার জন্য, আমাদের ছোট মেয়ে ভামিকার জন্যও। যখন আপনার পাশে বসে কেউ কথাবার্তাকে এভাবে নিতে পারবে, যেমন আনুশকা করেছে…আমি আসলে মরিয়া ছিলাম না। ছয় সপ্তাহে তরতাজা হয়ে এসেছি। বুঝেছিলাম, কতটা ক্লান্ত আমি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, এ বিরতির কারণেই আমার খেলাকে আবার উপভোগ করতে পারছি।’