পাওলিনিয়োর হ্যাটট্রিকে রাশিয়ার পথে নেইমাররা

নেইমার-মার্সেলোদের সামনে কাভানি-সানচেজরা খুব একটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না, এটা অনুমিতই ছিল। কারণ, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ২০০২ সালে ব্রাজিলকে হারায় উরুগুয়ে। তবে মন্টেভিডিওতে ম্যাচের শুরুর চিত্রটা ছিল ভিন্ন। ম্যাচের নবম মিনিটেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। গোল খেয়েই জেগে ওঠে ব্রাজিল। এরপর গুনে গুনে প্রতিবেশী দেশটির জালে চার গোল দেয় ফুটবলের সবচেয়ে সফল দলটি। নেইমারের গোলের সঙ্গে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করলেন পাওলিনিয়ো। টিটের অধীনে এই নিয়ে টানা আট ম্যাচ জিতল ব্রাজিল।
উরুগুয়ের মাঠে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় সেলেসাওরা। মাঝমাঠ থেকে নেইমার পাসে বল পেয়ে রবার্তো ফিরমিনিয়োকে বল দেন ফিলিপে কৌতিনিয়োকে। তবে বলে পা লাগাতে পারেননি লিভারপুলের তারকা মিডফিল্ডার। অষ্টম মিনিটে অমার্জনীয় ভুল করে বসেন মার্সেলো। ডি-বক্সের মধ্যেই গোলরক্ষককে ব্যাক পাস করেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার। গোলরক্ষক আলিসন পৌঁছার আগেই বলের দখল নেন এডিসন কাভানি। উপায় না দেখে বলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন গোলরক্ষক। এতে ধাক্কা লেগে পড়ে যান কাভানি। তবে মরিয়া হয়ে ওঠার প্রয়াসটা ভালোভাবে নেননি রেফারি। পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। সহজ সুযোগে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কাভানি।
লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১৯ মিনিটেই সমতায় ফেরে ব্রাজিল। গোলপোস্ট থেকে ২৫ গজ দূরে থেকে দারুণ এক শট নেন পাওলিনিয়ো। বল খুঁজে পায় উরুগুয়ের জাল। ৩১ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ মিস করেন দানি আলভেজ। তবে ৩৭তম মিনিটে আবার গোল পেতে পারত উরুগুয়ে। মাতিয়াস ভেসিনোর হেড পোস্টের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১তম মিনিটে ফিরমিনিয়োর শট ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক। তবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। কাছে থাকায় বল পেয়ে যান পাওলিনিয়ো। আরামের সঙ্গেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই তারকা।
৭৪তম মিনিটে ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন নেইমার। মিরান্ডার বাড়ানো বলে দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ নেন বার্সেলোনা তারকা। এরপর আলতোভাবে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন ব্রাজিলের প্রাণভোমরা। ম্যাচের একবারে শেষ সময়ে আবার গোল করে ব্রাজিলের বড় জয় নিশ্চিত করেন পাওলিনিয়ো। এই জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচ থেকে ব্রাজিলের সংগ্রহ ৩০ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উরুগুয়ের পয়েন্ট ২৩।