১৮ বছর পরে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

ফাইনালের লক্ষ্যে চিলির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করল আর্জেন্টিনা। কেউ কাউকে ছাড় নয়, কারণ এই ম্যাচে জিতলেই শিরোপা ছোঁয়ার একেবারে কাছে যাবে। তুমুল লড়াই শেষে জয়ের হাসিটা হেসেছে আলবিসেলেস্তেরা। জায়গা করে নিয়েছে অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে।
বয়সভিত্তিক ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতা চলছে চিলিতে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জুলিও মার্টিনেজ প্রাদানোস স্টেডিয়ামে কলম্বোর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের সবেচেয়ে বেশি ৬ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তবে আলবিসেলেস্তেরা সর্বশেষ শিরোপা জিতেছে ২০০৭ সালে। মাঝের এই সময়টাতে আর সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি আর্জেন্টিনা। সেই ধারা ভেঙে ১৮ বছর পরে ফাইনালে জায়গা করে নিলো আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।
ম্যাচে আক্রমণ, বল দখল ও শট নেওয়ায় দুই দলই লড়াই করেছে চোখে চোখ রেখে। অবশ্য বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। ৫৪ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখে গোলের জন্য ১৩টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে কলম্বিয়া। অন্যদিকে, ৪৬ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য নেওয়া ১৪ শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে রাখে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠে দুই দল। মাঝমাঠের কারিকুরি জায়গা করে নিতে পারছিল না জালে। বারবার ফিরছিলেন ব্যর্থ হয়ে। প্রথমার্ধে গোল শূন্য সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া।
ম্যাচের ৭২ মিনিটে ডেলক ভাঙে আর্জেন্টিনা। একমাত্র গোলটি করেন লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি সতীর্থ সিলভেট্টি। এর ৭ মিনিট পরই ম্যাচে ফেরার সুযোগ যেন হাত ছাড়া করে ফেলে কলম্বিয়া, লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার জন এনটারিয়া। দুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১০ জনের কলম্বিয়া ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গী মরক্কো। আরেক সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। সেই ম্যাচে ১-১ ড্র হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় মরক্কো।