২০২৬ বিশ্বকাপে দেখা যাবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই?
ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা। এই দুই দেশের ম্যাচ মানেই যেন ফুটবলে ভিন্ন এক উন্মাদনা। সেটি যদি হয় বিশ্বকাপের ম্যাচ তাহলে তো সেই উন্মাদনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপের ড্র। এরপর সেই প্রশ্নটা আবারও আলোচনার টেবিলে উঠে এসেছে। অবশ্য সচরাচর এমন কিছু দেখা যায় না। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার। তবে এবার সেই সম্ভাবনা বেঁচে আছে কাগজে-কলমে।
বিশ্বকাপের ড্রয়ে র্যাঙ্কিং বিবেচনায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলই ছিল পট-১ এ। যেকারণে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে পড়েছে দুই দল। ব্রাজিল গেছে ‘সি’ গ্রুপে আর আর্জেন্টিনা ‘জে’ গ্রুপে। তাই গ্রুপ পর্বে তাদের দেখা হচ্ছে না।
তবে দুই দলই যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে দেখা হতে পারে সেমিফাইনালে। সেজন্য অবশ্য দুই দলকেই পাড়ি দিতে রাউন্ড অব ৩২, রাউন্ড অব ১৬ ও কোয়ার্টার ফাইনাল। জায়গা করে নিতে হবে সেমিফাইনালে। সেখানেই দেখা হবে মেসি-নেইমারদের।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন না হলেও দেখা হবে দুই দলের। তখন আবার দুই দলকেই নিজেদের গ্রুপে হতে হবে গ্রুপ রানার্স আপ। এখানেও শর্ত সেটিই সেমিফাইনাল অব্দি যেতে হবে দুই দলকে।
সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। লিওনেল স্কালোনির অধীনে ধারাবাহিক পারফর্ম করে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে, ধুঁকতে থাকা ব্রাজিলও নতুন আশা পেয়েছে কার্লো আনচেলত্তির অধীনে। যেকারণে দুই দলেরই সম্ভাবনা আছে সেমিফাইনাল খেলার।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টায় শুরু হয় ড্র অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। তাকে সহযোগিতা করেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সুপরিচিত সঞ্চালক সামান্থা জনসন।
ড্রয়ে পট-১ এ থেকে প্রথমেই নাম ওঠে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। এক নম্বর দল হিসেবে তারা যায় ‘সি’ গ্রুপে। এরপর ‘জে’ গ্রুপের এক নম্বরে দল হিসেবে যায় আর্জেন্টিনা। যদিও তাদের নাম উঠেছিল ‘আই’ গ্রুপে কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ফ্রান্স থাকবে ‘আই’ গ্রুপে। তাই আর্জেন্টিনাকে যেতে হয় পরের গ্রুপে।

স্পোর্টস ডেস্ক