আরেকটি রূপকথার গল্প লিখল বাংলাদেশ
বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় উত্থানের গল্প দেখছে ক্রিকেটবিশ্ব। ২০১৫ সাল থেকেই শুরু হয় এই রোমাঞ্চকর রূপকথার গল্প। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পরই ক্রিকেটবোদ্ধারা অন্য নজরে দেখতে শুরু করেন লাল-সবুজের দলকে। সেই বাংলাদেশই কি না এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে নতুন একটি ইতিহাস গড়েছে।
গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে যেন উড়ছে বাংলাদেশ দল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে শুরু হয়েছিল মাশরাফিদের স্বপ্নযাত্রা। এর পর ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে চমক জাগায় তারা। বিশ্বকাপের পর জয়যাত্রা অব্যাহত রাখে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়ে।
এর পর পূর্ণশক্তির ‘টিম ইন্ডিয়া’ও নতজানু হয় বাংলাদেশের পরাক্রমের কাছে। পাকিস্তানের পর ভারতের বিপক্ষেও বাংলাদেশ পায় প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের দারুণ অভিজ্ঞতা। পাকিস্তান-ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে আরেকটি ক্রিকেট-রূপকথার গল্প লিখেছিল তারা।
সে ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরেকটি ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ আসর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে উঠে গেলে তারা। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে টপকে ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই শেষ চারে ওঠে বাংলাদেশ।
এর আগেও বহু সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের মধ্য দিয়ে সাফল্যের যাত্রা শুরু হয়েছিল লাল-সবুজের দলের। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দাপটের সামনে মাথা নোয়াতে হয়েছে সবকটি টেস্টখেলুড়ে দলকেই।
অবশ্য এর আগে এশিয়া কাপ ও এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালেও খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে সেসব সাফল্য যেন ম্লান হয়ে গেছে বাংলাদেশের নতুন অর্জনে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক