এখনো শেষ হয়নি নেইমার ‘নাটক’

নেইমারের প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে যাওয়ার গল্পটা কোনো হলিউডি থ্রিলার মুভির চেয়ে কম নয়। অনেক নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত পিএসজিতে গেলেও ট্রান্সফার নিয়ে এখনো দ্বন্দ্বটা শেষ হয়নি। পিএসজির দেওয়া ২২২ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করছে না বার্সেলোনা। স্প্যানিশ ক্লাবটির আশঙ্কা, নেইমারের ট্রান্সফার উয়েফার ‘ফিনানশিয়াল ফেয়ার প্লে’ নীতি ভঙ্গ করেছে। তাই সরাসরি অর্থ নিতে চাচ্ছে না বার্সেলোনা।
গত বুধবার নেইমারকে পিএসজিতে যাওয়ার অনুমতি দেয় বার্সেলোনা। চুক্তিমতে, পরের দিনই কাতালান ক্লাবটিতে ২২২ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়ে দিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। বিশেষজ্ঞ ক্রীড়া আইনজীবী জুয়ান দি দিওস ক্রেপসো বৃহস্পতিবার ন্যু ক্যাম্পে এসে পৌঁছান, তাঁর হাত দিয়েই অর্থ হস্তান্তর করেছে পিএসজি কর্তৃপক্ষ। তবে ক্রেসপোর দেওয়া সেই অর্থ নেয়নি নেইমারের সাবেক ক্লাব। বার্সা মনে করছে, এফএফপির নীতিমালা ভঙ্গ করেছে পিএসজি। তাই উফেয়ার সবুজসংকেত না পাওয়া পর্যন্ত অর্থ গ্রহণ করবেন না তাঁরা।
স্প্যানিশ লা লিগার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই মৌসুমে ১০০ মিলিযন ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না দলগুলো। সেখানে নেইমারের ট্রান্সফারটা তার চেয়েও অনেক বেশি। আমরা মনে করছি এ ক্ষেত্রে উয়েফার ‘ফিন্যানশিয়াল ফেয়ার প্লে’ নীতি মেনে চলা হয়নি।
উয়েফার ফিনানশিয়াল ফেয়ার প্লের নিয়ম মতে, ‘কোনো মৌসুমে দলবদলের ক্ষেত্রে আয়ের চেয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ মিলিয়ন ডলার বেশি খরচ করতে পারবে কোনো দল। আগামী তিন বছরে খেলোয়াড় বেচাকেনার ক্ষেত্রে ক্লাবের লোকসান ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারবে না। এমনটা হলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে উয়েফা।’
এখানেই ফেঁসে যাচ্ছে পিএসজি। কারণ ২০১১ সালে কাতার স্পোর্টস ইন্টারন্যাশনাল পিএসজির মালিকানা নেওয়ার পর এখনো লাভের মুখ দেখেনি দলটি। তাই ক্লাবের আয়ের তো কোনো প্রশ্নই থাকে না।
প্যারিসের ক্লাবটি তাদের নিজস্ব ফান্ড থেকে এই বিপুল পরিমাণ শোধ করলে সেটা উয়েফার নীতি ভঙ্গ করবে। নেইমারের এই ট্রান্সফার নিয়ে আগেই পিএসজিকে সতর্ক করেন লা লিগার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার তেবাস। তিনি বলেন, ‘এই ট্রান্সফারে উয়েফার ফিনানশিয়াল ফেয়ার প্লে লঙ্ঘিত হলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।’
আগামী শনিবার ফরাসি লিগে নিজের প্রথম ম্যাচে আপিয়েঁর বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল নেইমারের। তবে লা লিগা কর্তৃপক্ষ নেইমারের রিলিজ ক্লজের অর্থ গ্রহণ না করায় নতুন জটিলতা তৈরি হলো।