প্যারিসে আরও ভয়ঙ্কর নেইমার

মেসি-সুয়ারেজ-ইনিয়েস্তাদের সামনে সর্বোচ্চটুকু দিলেও সব সময়ই পার্শ্ব নায়ক হয়েই থাকতে হয়েছে। এই কারণেই হয়তো তিনি স্পেন ছেড়ে ফ্রান্সে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। নেইমার যে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন, প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের হয়ে প্রথম ম্যাচেই সেটা প্রমাণ করলেন তিনি। প্যারিসের হয়ে অভিষেক ম্যাচটা রাঙিয়ে তুললেন এই ব্রাজিল তারকা। নিজে গোল করে ও সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে প্যারিস পর্বটা স্মরণীয় করে রাখার প্রস্তুতি নিলেন নেইমার। ফরাসি লিগ ওয়ানে গুইংগ্যাম্পকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। আর অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নেইমার দেখিয়ে দিলেন কেন তাকে ২২২ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে।
এই মৌসুমে নেইমারকে ছাড়া প্রথম ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। অন্যদিকে পিএসজির হয়ে প্রথম ম্যাচটাই জিতলেন নেইমার। রোববার রাতে গুইংগ্যাম্পের মাঠে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পিএসজি। নেইমারকে ঠেকানোর কোনো অস্ত্রই যেন ছিল না প্রতিপক্ষের কাছে। প্রথম মিনিটেই অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে দারুণ এক পাস দিয়ে সতীর্থের সাধুবাদ পান নেইমার।
১৯তম মিনিটে নেওয়া নেইমারের শটটা চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। ৩৬তম মিনিটে নেইমারের দারুণ ক্রস থেকে বল পেয়ে প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন মারকিউনিস। ক্রসবারে লেগে বল ফিরে আসে। পরের মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে নেইমারকে ফাউল না করলে প্রথম গোলটা হয়তো পেয়েই যেত এই তারকা। বিষয়টি অবশ্য রেফারির নজর এড়িয়ে যায়।
প্রথমার্ধে নেইমারকে ঠেকাতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর পেরে ওঠেনি গুইংগ্যাম্প। ৫২তম নিজেদের ভুলেই পিছিয়ে পড়ে গুইংগ্যাম্প। ৬২তম মিনিটে নেইমারের নিখুঁত পাসে বল পেয়ে গোল করেন এডিসন কাভানি। নিজেদের প্রান্ত থেকে একাই বল টেনে নিয়ে আসেন নেইমার। এরপর কাভানির দিকে পাস দেন। গোলরক্ষককে পার করার কাজটিই কেবল উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার করেন। পুরো ম্যাচে দারুণ খেললেও নেইমার গোল পাচ্ছিলেন না। অবশেষে ৮২ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পান নেইমার। কাভানির কাছ থেকে বল পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন তিনি।