মেসির হ্যাটট্রিকে এস্পানিওলকে উড়িয়ে দিল বার্সা

প্রায় একই সময়ে ক্লাব দুটির উত্থান হলেও উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। ১৮৯৯ সালে বার্সেলোনা প্রতিষ্ঠার এক বছর পরই এস্পানিওলের জন্ম। সুইস ইঞ্জিনিয়ার হুয়ান গ্যাম্পার বার্সেলোনাকে টেক্কা দিতেই কাতালান রাজ্যে এস্পানিওল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। বার্সেলোনা যখন স্পেনের জেনারেল ফ্রাঙ্কোর স্বৈরশাসনের বিপক্ষে লড়াই করেছে ঠিক একই সময় এস্পানিওল সমর্থন দেয় স্প্যানিশ রাজতন্ত্রকে। এই কারণে একই প্রদেশে অবস্থিত ক্লাব দুটির লড়াই সব সময়ই ভিন্ন মাত্রা এনে দিত। তবে সময়ে ব্যবধানে এস্পানিওলকে ছাড়িয়ে হাজার ক্রোশ এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা। এবারের লা লিগাতেও এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখল বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে কাতালান ডার্বিটা ৫-০ গোলে জিতে নিয়েছে বার্সেলোনা।
শনিবার রাতে মাঠে নামার আগেই বেশ খানিকটা চনমনে ছিল বার্সেলোনা শিবির। কারণ এর আগে ম্যাচে লেভান্তের বিপক্ষে ড্র করে পয়েন্ট হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে শিরোপা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এস্পানিওলকে হারিয়ে ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল বার্সেলোনার সামনে। নগর প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়ে একেবারে বিধ্বস্ত করে ছাড়লেন মেসি-সুয়ারেজরা।
কাম্প ন্যুয়ে প্রথম থেকেই এস্পানিওলকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দিচ্ছিল না পিকে-আলবা-সেমেদাওরা। তবে গোলের সুযোগও তৈরি করতে পাছিলেন না মেসি-সুয়ারেজ-রেকিটিচরা। গোলের জন্য ২৬ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বার্সাকে। ইভান রাকিতিচের দুর্দান্ত পাসে বল পেয়ে অসাধারণ দক্ষতায় গোল করেন মেসি।
দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটিও মেসির। ৩৫তম মিনিটে প্রায় একক প্রচেষ্টায় এস্পানিওলের রক্ষণভাগে হানা দেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তবে শেষ পর্যন্ত বলটা ধরে রাখতে পারেননি। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পা লেগে বল পেয়ে ডান জর্দি আলবা। ডি বক্সের কোণ থেকে মেসিকে পাস দেন আলবা, আর মেসি সেটিকে জালে জড়িয়ে দেন। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।বিরতির পর আবার গোলমুখের দরজাটা খোলেন মেসি। ৬৭ মিনিটে সুয়ারেজ দারুণভাবে এস্পানিওলের রক্ষণভাগে ঢুকে পড়েন। তবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে আলবার উদ্দেশে পাস দেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ফাঁকা জায়গায় রয়েছেন বলে আলবা বল বাড়ান মেসির দিকে। এবারও গোল গোল করতে ভুল হয়নি মেসির। বার্সেলোনার হয়ে পরের দুটি গোল করেন পিকে ও সুয়ারেজ। ৮৭তম মিনিটে রেকিটিচের নেওয়া কর্নার কিকে মাথা লাগিয়ে গোল করেন পিকে। ৯০ মিনিটে গোল করেন সুয়ারেজ। বার্সার হয়ে অভিষিক্ত ডেম্বেলের দারুণ পাসে বল পেয়ে সরাসরি গোলে জড়িয়ে দেন তিনি। টানা তিন ম্যাচ জয় পেয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা।