সেল্টিকের জালে নেইমারদের গোল উৎসব

নেইমার-এমবাপ্পেদের কেনার পর এই মৌসুমে যেন অন্য গ্রহের কোনো দলে পরিণত হয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। প্রতিটি ম্যাচে বিস্ময় উপহার দিয়ে চলছে দলটি। ফরাসি লিগ ওয়ানে দুর্দান্ত সাফল্যের পর চ্যাম্পিয়নস লিগেও জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে প্যারিসের দলটি। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচে স্কটিশ ক্লাব সেল্টিককে ৫-০ গোলে হারিয়েছেন নেইমার-কাভানিরা।
সেল্টিকের মাঠে এদিন গোল উৎসব শুরু করেন নেইমার। ১৯তম মিনিটে ফরাসি স্ট্রাইকার আদ্রিয়েন র্যাবিওটের পাস থেকে বল পেয়ে পিএসজিকে এগিয়ে দেন নেইমার। প্রায় মধ্যমাঠ থেকে র্যাবিওটের বাড়ানো বলটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেন ব্রাজিল তারকা। পিএসজি অবশ্য এর আগেই গোল করেছিল। ১৫ মিনিটে কাভানির গোল অফ সাইডের কারণে বাতিল হয়।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পিএসজিকে আবার এগিয়ে দেন কিলিয়ান এপবাপ্পে। ডি বক্সের ভেতর নেইমার হেড করে বল দিয়েছিলেন এডিনসন কাভানিকে। বলে পা লাগাতে পারেননি উরুগুয়ে তারকা। তবে ভুল করেননি এমবাপ্পে। দারুণ শটে গোল করেন মোনাকো থেকে ধারে খেলতে আসা এই স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে দুই দলের হয়ে গোল করলেন এমবাপ্পে। ৪০তম মিনিটেই নিজেদের ভুলে গোল হজম করে সেল্টিক। অযথাই কাভানিকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন জো জো সিমুনোভিচ। পেনাল্টির বাঁশি বাঁজান রেফারি। গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন কাভানি।
বিরতির পর আরো দুটি গোল হজম করে স্কটিশ ক্লাবটি। ৮৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে সেল্টিক। আর এর দুই মিনিট পর দ্বিতীয় গোলে পিএজসির ৫-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন এডিনসন কাভানি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে নিজেদের মাঠে সেল্টিকের এটি সবচেয়ে বড় হার। ২০১৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে জয়ের দেখা পায়নি দলটি।