বিশ্বকাপে খেলা হবে তো মেসির?

লিওনেল মেসি বার্সেলোনার, নিজ দেশ আর্জেন্টিনার নন! এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অনেক দিনের। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে একের পর এক সাফল্য পেলেও আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি এখনো জিততে পারেননি বড় কোনো শিরোপা। ২০১৪ সালের সর্বশেষ বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত গেলেও শেষ পর্যন্ত হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারকে। আর ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে মেসি আদৌ খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়েই চলছে ঘোর সংশয়।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বেশ বেহাল অবস্থার মধ্যেই পড়েছে আর্জেন্টিনা। ১০ দলের এই বাছাইপর্ব থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার টিকেট পাবে শীর্ষ চারটি দল। আর পঞ্চম স্থানে থাকা দলটিকে খেলতে হবে প্লে-অফ। ১৭ ম্যাচ শেষে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনা এখন আছে ছয় নম্বর স্থানে। আগামীকাল বুধবার বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ শেষেও যদি আর্জেন্টিনা এই অবস্থানেই থাকে, তাহলে ২০১৮ বিশ্বকাপে আর খেলাই হবে না মেসির।
আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনাকে খেলতে হবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়ার জন্য এই ম্যাচ জিততে হবে দুবারের শিরোপাজয়ীদের। ড্র করলে বা হেরে গেলেও আর্জেন্টিনা পেতে পারে বিশ্বকাপের টিকেট। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অনেক জটিল হিসাব-নিকাশের খাতা খুলে বসতে হবে মেসিদের। তাকিয়ে থাকতে হবে কলম্বিয়া-পেরু ও ব্রাজিল-চিলির মধ্যকার ম্যাচ দুটির ফলাফলের দিকে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য নিশ্চিতভাবেই অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে চাইবেন না আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলাররা। সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন ইকুয়েডরকে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার জন্য।
তবে সেই কাজও খুব একটা সহজ হবে না মেসিদের জন্য। বাছাইপর্বের বাঁচামরার এই ম্যাচ আর্জেন্টিনাকে খেলতে হবে ইকুয়েডরে গিয়ে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার ৭৮২ মিটার উঁচুতে অবস্থিত কিটো স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলতে বেশ কষ্টই করতে হবে মেসি-দিবালাদের।
এই মাঠে খেলা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বেশিরভাগ ম্যাচেই জয়ের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। শেষবারের মতো তারা জিতেছিল ২০০১ সালে। ২০১৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও ইকুয়েডরের এই মাঠে গিয়ে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।