টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা

দক্ষিণ আফ্রিকা রহস্যের জট খুলতেই পারছেন না বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ দেশটিতে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি ম্যাচে। সেটিও আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৭ সালের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। প্রোটিয়াদের দেশে সব ফরম্যাট মিলে বাংলাদেশ খেলেছে ২৫টি ম্যাচ। জিতেছে মাত্র ওই একটিতেই। এই সফরের আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসেছিল বাংলাদেশ। সেবারও খালি হাতেই ফিরতে হয় টাইগারদের।
নয় বছর পর আবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছে মাশরাফি-মুশফিকরা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাপ্তির ঝুলিটা ফাঁকা। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও স্বাগতিকদের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়েছে লাল-সবুজের দল। এবার সিরিজের শেষ পর্বটা শুরু হচ্ছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামবেন সাকিব আল হাসানরা। আগের দুটি পর্বে জয়ের মুখ না দেখলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজটা জিততে মরিয়া হয়ে রয়েছে সফরকারীরা।
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেয়েছে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়ের বৃত্তে ফিরতে চায় সফরকারী দলটি। শেষ ওয়ানডেতে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজে বেশ কিছু ভুল করেছি আমরা। টি-টোয়েন্টিতে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব হবে।’ দলটাকে আরো ইতিবাচকভাবে খেলার পরামর্শ দেন এই অধিনায়ক। মাশরাফি অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকছেন না। তাঁর বদলে দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান। নতুন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভালো করবে বলে আশাবাদী ম্যাশ।
টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম নয়। এর আগে চারটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এর চারটিতেই অবশ্য হেরেছে বাংলাদেশ। অধিনায়কত্বের দ্বিতীয় পর্বটা রাঙাতে চাইবেন সাকিব আল হাসানও। তবে জয়ের জন্য সাকিবকে বেশ কঠির পথ পাড়ি দিতে হবে। ইনজুরির কারণে দলের প্রধান দুই অস্ত্র তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমানকে পাবেন না তিনি।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডটা কিছুটা দুর্বল। হাশিম আমলা, ইমরান তাহির, কাগিসো রাবাদা, ফাফ দু প্লেসির মতো তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে প্রোটিয়ারা। তবে ঘরের মাটিতে খেলবে বলে বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়েই থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্ষয়িষ্ণু শক্তির দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিততে পারবে তো বাংলাদেশ?
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও সাইফুদ্দিন।
দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দল : জেপি ডুমিনি (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, ফারহান বেহারদিন, কুইন্টন ডি কক, এবি ডি ভিলিয়ার্স, রবি ফ্রাইলিঙ্ক, বেরুন হেন্ডড্রিক্স, ডেভিড মিলার, মাঙ্গালিসো মোসেলে, ডেন প্যাটারসন, অ্যারন ফাঙ্গিসো, অ্যানদিলে ফেলুকায়ো, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস ও তাবরেজ শামসি।