সাকিবের বোলিংটা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে

কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একনিষ্ঠভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। লাল-সবুজের দেশের সবচেয়ে সেরা ভরসা তিনি। কিছুদিন আগ পর্যন্ত তিন ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিলেন এই টাইগার ক্রিকেটার। সাকিবের ক্রিকেটীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তবে কিছুদিন ধরে সাকিব আল হাসানের বোলিংটা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বল হাতে ভালো ফর্মে নেই এই অলরাউন্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও সাকিবের ঘূর্ণি জাদু দেখা যায়নি। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় পোস্টার তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই সিরিজে তাঁর ঘূর্ণি জাদু দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে সাকিবের ক্যারিয়ার গড় প্রায় ৩৫। গত এক বছরে ১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এই সময় ব্যাটিংটা গড়টা ঠিক রাখলেও বল হাতে একেবারে ভালো করতে পারেননি তিনি। বল হাতে ক্যারিয়ারের গড়টা ২৯.৯৫। এই এক বছরে বল হাতে সাকিবের গড়টা ৬৯.৩৬। কেবল ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও সাকিবের বোলিং পরিসংখ্যানটা বেশ খারাপ। গত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে একটি উইকেট নিতে ২৮ রান করে খরচ করেছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়টা যেখানে প্রায় ২১! গত ১৪ ওয়োনডেতে সাকিব উইকেটে নিয়েছে মাত্র ৬টি। গড় ৯৯! বলাই বাহুল্য, বল হাতে দেশসেরা ক্রিকেটারের এমন বিবর্ণ চেহারা ভাবাচ্ছে তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের।
টানা খেলার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব আল হাসান। আশা করা হচ্ছিল, ওয়ানডেতে চনমনে হয়ে ফিরবেন তিনি। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ব্যাট ও বল দুই দায়িত্বে ভালোভাবে উতরে উঠতে পারেননি তিনি। এবার টি-টোয়েন্টির লড়াই। সঙ্গে অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি। দেখা যাক, নতুন দায়িত্বে কতটা সফল হতে পারেন তিনি। নেতৃত্ব পেয়ে বল হাতে দৈন্যদশাটা কাটাতে পারবেন তো এই অলরাউন্ডার?