মেসি-রোনালদোর চেয়েও বেশি ব্যালন ডি’অর থাকত আমার : ম্যারাডোনা

ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটা একটা সময় কেবল ইউরোপীয় ফুটবলারদের মধেই সীমাবদ্ধ ছিল। ইউরোপের বাইরের তারকা ফুটবলাররা এই পুরস্কারটা জিততেন না। ১৯৯৫ সালে নিয়ম পরিবর্তন করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারটি। প্রথমবারই পুরস্কারটি যায় লাইবেরিয়ান তারকা জর্জ উইয়াহর পকেটে। এরপর থেকে ২৩ বছরে ১০ বারই পুরস্কারটি যায় ইউরোপের বাইরে। এক মেসিই জেতেন পাঁচবার, তালিকায় ব্রাজিলের রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনহোর মতো তারকাও রয়েছেন। উয়েফা যখন ইউরোপের বাইরে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, দিয়োগো ম্যারাডোনা তখন ক্যারিয়ারের ক্লান্তিলগ্নে। নিজের সময়ে ব্যালন ডি অর জেতার সুযোগ থাকলে মেসি-রোনালদোর চেয়ে বেশিবার এই পুরস্কারটি জিততেন ম্যারাডোনা। সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছেন খোদ ম্যারাডোনাই।
স্প্যানিশ একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা বলেন, ‘আমাদের সময় তো ব্যালন ডি’অর পেতাম না আমরা। যদি নিয়মটা এখনকার মতো হতো মেসি ও রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর থাকত আমার।’ তবে ব্যালন ডি’অরটা কেবল মেসি ও রোনালদোর মধ্যে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় নাখোশ এই ফুটবল ঈশ্বর। তিনি বলেন, ‘ব্যালন ডি'অর অনেক বড় একটা পুরস্কার। নির্দিষ্ট একজন খেলোয়াড়কে দেওয়াটা খুবই কঠিন। তবে বারবার এটি ক্রিস্টিয়ানো এবং মেসির মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। এটা বিরক্তিকর।’
বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে লিওনেল মেসিকে সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। তিনি বলেন, ‘আমার দেখা সেরা কয়েকজনের মধ্যে থাকবেন আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, যোহান ক্রুইফ ও লিওনেল মেসি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও এই তালিকার মধ্যে রাখতে চান আর্জেন্টাইন গ্রেট। তবে মেসির মধ্যে নেতৃত্ব গুণাবলির অভাব রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। ম্যারাডোনা বলেন, ‘ওর মধ্যে এই জিনিসটা নেই। মনে করুন, ২০ জন খেলোয়াড় বসে আছে, সেখানে মেসি কথা বলতে পারে না। যেখানে আমি তাদের উৎসাহিত করতে পারতাম।’
রোনালদোকে ক্রুইফের মানের ফুটবলার বলে উল্লেখ করেন ম্যারাডোনা। তিনি বলেন, ‘রোনালদো অবিশ্বাস্য। দলের প্রয়োজনে সব সময় এগিয়ে আসে যে। বিশ্বাস করুন, ক্রুইফের পর এমন বৈশিষ্ট্যের খেলোয়াড় আমি আর দেখিনি।’