সৌরভের সমর্থন নিয়েই বিসিসিআই সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর?

জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল শশাঙ্ক মনোহরের। এমনকি এই পদে তাঁর নাম প্রস্তাব করতে পারেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সদ্য নিযুক্ত সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। এমন গুঞ্জনই উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরে। বোর্ডের ক্ষমতাশালী অরুণ জেটলি, শারদ পাওয়ার এবং অনুরাগ ঠাকুরের সমর্থন পাওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা শশাঙ্ক মনোহরের।
৫৭ বছর বয়সী শশাঙ্ক মনোহর পেশায় আইনজীবী। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন তিনি। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করার মনোভাবের কারণে ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনে বিশেষ সম্মানজনক অবস্থান তাঁর। মনোহরকে বোর্ড সভাপতি হিসেবে ক্ষমতায় দেখার ক্ষেত্রে শারদ পাওয়ারের সম্মতি রয়েছে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অজয় শিরকে তেমন সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন।
আইপিএলে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিতে ‘ব্যাকফুটে’ চলে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ফেরাতে ডালমিয়ার পর শশাঙ্ক মনোহরই সঠিক ব্যক্তি বলে মনে করেন অরুণ জেটলি ও অনুরাগ ঠাকুর। শ্রীনিবাসনের ‘চরম শত্রু’ হিসেবে বিবেচিত মনোহরকে পছন্দ করেন বোর্ডের অধিকাংশৱ সদস্য। বেশির ভাগ সদস্যেরই বিশ্বাস, ডালমিয়ার পর মনোহরই ভারতের ক্রিকেটকে সঠিকভাবে দিশা দেখাতে পারেন।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে শশাঙ্ক মনোহরের নাম প্রস্তাব করতে পারেন স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলী। দ্বিতীয়বারের মতো বোর্ড সভাপতির চেয়ারে বসতে মোট ২৯টির মধ্যে ১৫টি ভোট দরকার মনোহরের। এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে শ্রীনিবাসন-বিরোধী হাওয়া বেশ জোরালো থাকায় তাঁর পক্ষে বোর্ড সভাপতি হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে এটাও ঠিক যে বিনা লড়াইয়ে ‘শত্রু শিবিরে’র অন্যতম শশাঙ্ক মনোহরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি হবেন না শ্রীনিবাসন। বোর্ড সভাপতির লড়াইয়ে মনোহরের বিরুদ্ধে পছন্দের প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেন তিনি।