মিসবাহকে পিসিবির ‘বিনীত অনুরোধ’
গত মার্চে বিশ্বকাপ শেষে একদিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মিসবাহ-উল-হক। ৪১ বছর বয়স হয়ে গেছে। তাই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর চিন্তাভাবনাও করছেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু মিসবাহর মতো অভিজ্ঞ-নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়কে এখনই হারাতে চায় না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আরো অন্তত এক বছর খেলে যাওয়ার জন্য মিসবাহকে অনুরোধ জানিয়েছে পিসিবি।
এ বছরের শেষ দিকে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলে মিসবাহর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর টেস্ট সিরিজ আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে এখন ঘোর সংশয়। তাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজই মিসবাহর শেষ সিরিজ হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
তবে এখনই মিসবাহকে হারাতে রাজি নয় পিসিবি। তাঁকে আরো কিছুদিন খেলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান বলেছেন, ‘আমরা তাঁকে বলেছি, অবসরের ঘোষণা আরো এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য।
আগামী বছর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক ও সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।’
আগামী বছর মিসবাহর বয়স হবে ৪২ বছর। সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত বয়সী ক্রিকেটার খুব একটা দেখা যায়নি। এমনকি ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারও অবসর নিয়েছিলেন ৪০ বছর সাত মাস বয়সে।
তবে বয়স কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না মিসবাহর পারফরম্যান্সে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্টের চার ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩, ৫১, ১০২ ও ৮৭ রান। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দ্বিতীয় টেস্ট ১৭৮ রানে জিতে পাকিস্তান তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে আছে ১-০ ব্যবধানে।
মিসবাহ নিজেও অবশ্য অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে দোলাচলে। তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবই কঠিন একটা সিদ্ধান্ত। কাজেই আমাকে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হচ্ছে। আগামী দেড় মাস আমি নিজেকে নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করব। আরো কতদূর যেতে পারব, দলের জন্য কতটা অবদান রাখতে পারব সবকিছু আমাকে দেখতে হবে। ক্রিকেটের প্রতি আমার আগ্রহ আছে না কমতে শুরু করেছে, সেটাও বিবেচনা করতে হবে। কখনো কখনো ফিটনেসই শেষ কথা নয়।
খেলাটার প্রতি কতটা আগ্রহ আছে, সেটাও বিবেচনার বিষয়। আমি দলের বোঝা হতে চাই না। যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন, সবাই তা শিগগিরই জানতে পারবে।’