বিপিএল নিয়ে অসন্তুষ্ট পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

ভারতের জনপ্রিয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আইপিএলে অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ায় প্রায়ই আফসোস করতে হয় পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশের বিপিএলে অংশ নিয়ে সেই আক্ষেপ দূর করার সুযোগ মিলেছিল মিসবাহ-আফ্রিদিদের। কিন্তু এবারও হতাশ হতে হলো পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। বিপিএল শেষেও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মিসবাহ-কামরান আকমলরা।
বিপিএলের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন সিলেট সুপারস্টার্সের হয়ে খেলা শহীদ আফ্রিদি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পারিশ্রমিক পরিশোধ না করার অভিযোগ তুলেছিলেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের এই অধিনায়ক। টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক, কামরান আকমল, ওয়াহাব রিয়াজরা অবশ্য অসন্তুষ্ট অন্য কারণে। তাঁরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন নিয়মিত মাঠে নামতে না পারায়। মিসবাহ বলেছেন, ‘আমি এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলতে পারব না। দলের মালিক-কোচরা হয়তো যেটা প্রয়োজন সেটাই করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বেঞ্চে বসে থাকাটা খুব সহজ ব্যাপার না।’
রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএলের মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন মিসবাহ। সাতটি ম্যাচে তাঁকে থাকতে হয়েছে দর্শক হয়ে। তাঁর চেয়ে এগিয়ে রাখা হয়েছে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীকে। একই রকম পরিণতি হয়েছে রংপুর রাইডার্সের আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজের। তিনি খেলেছেন মাত্র একটি ম্যাচ।
পাকিস্তানের আরেক ক্রিকেটার কামরান আকমলের জন্য প্রশ্নটা শুধু টাকারই ছিল না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের আগে ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে নির্বাচকদের নজর কাড়তে চেয়েছিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। কিন্তু চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে তিনি খেলতে পেরেছেন মাত্র দুইটি ম্যাচ। আর বিপিএল শেষ হওয়ার পর বেশ আক্ষেপ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি মালিক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে স্পষ্টভাবে বলেছিলাম যে আমি বিপিএলে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে চাই। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচের পর আমাকে আর সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমি শুধু টাকার জন্যই খেলতে যাইনি। আমি ভেবেছিলাম, বিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে নির্বাচকদের বলতে পারব যে, আমি ভালো করছি।’
বিপিএলে ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে অবশ্য আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আশা জোরদার করেছেন মোহাম্মদ আমির। চিটাগং ভাইকিংসের জার্সি গায়ে নয় ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই হয়তো দেখা যেতে পারে আমিরকে।