শুরু হচ্ছে সাকিবের আইপিএল মিশন
২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর) যোগ দেওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দলের অপরিহার্য সদস্যে পরিণত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২০১২ ও ২০১৪ সালে কেকেআরের শিরোপা জয়ের পেছনেও বড় অবদান রেখেছিলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। এবারের আসরে তাই সাকিবকে আর নিলামের মঞ্চেই উঠতে দেয়নি কলকাতা। ফলে টানা ষষ্ঠবারের মতো কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে খেলতে যাচ্ছেন সাকিব। আজ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে সাকিবদের আইপিএল মিশন।
২০০৮ থেকে ২০১০, আইপিএলের প্রথম তিনটি মৌসুমে গ্রুপ পর্বের বাধাই পেরোতে পারেনি কলকাতা। ২০১১ সালে সাকিব যোগ দেওয়ার পর থেকেই যেন খুলতে থাকে কেকেআরের ভাগ্য। সেবার শিরোপা জিততে না পারলেও প্রথমবারের মতো খেলেছিল প্লে-অফ। প্রথম মৌসুমে সাকিবকেও অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়ার জন্য। সেবার খেলেছিলেন সাতটি ম্যাচ। কিন্তু পরের মৌসুম থেকেই সাকিব হয়ে ওঠেন অপরিহার্য। ২০১২ সালে কলকাতাও জেতে প্রথম শিরোপা। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় শিরোপাজয়ের অন্যতম কারিগরও ছিলেন সাকিব। এবারও সাফল্যের জন্য সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের দিকে নিশ্চিতভাবেই তাকিয়ে থাকবে কেকেআরের সমর্থকরা।
আইপিএলের চার আসর মিলে সাকিব খেলেছেন ৩২টি ম্যাচ। ব্যাট হাতে করেছেন ৩৮৩ রান। বল হাতে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট। কেকেআরের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারিদের তালিকায় সাকিবের নাম আছে তৃতীয় স্থানে। সামনে আছেন শুধু জ্যাক ক্যালিস (৪২) ও সুনীল নারাইন (৭৪)।
ব্রাড হজ, আন্দ্রে রাসেল, কলিন মুনরো, মরনে মরকেলদের নিয়ে শক্তিশালী দলও গড়েছে কেকেআর। আইপিএলের ঠিক আগ দিয়ে বল করার অনুমতিও পেয়ে গেছেন সুনীল নারাইন। ফলে দুবারের শিরোপাজয়ীদের এবারও ফেভারিট হিসেবেই বিবেচনা করছেন অনেকে। সাকিব নিজে অবশ্য কেকেআরকে তারকানির্ভর দল হিসেবে বিবেচনা করছেন না। আইপিএল শুরুর আগে হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ‘আমাদের কোনো সুপারস্টার নেই। কিন্তু সবাই দলের জন্য খেলে। এটাই আমাদের শক্তি। সবাই নিজের শতভাগ দিয়ে খেলে। আমরা সবাই একে অপরের কাছ থেকে সেটাই প্রত্যাশা করি।’