তুরস্কে ফুটবলারদের বাসে গুলি
ফুটবলীয় উন্মাদনা কখনো কখনো পরিণত হয় উন্মত্ততায়। প্রিয় দলের পরাজয়ে হতাশ-ক্ষুব্ধ সমর্থকরা অনেক ‘কাণ্ড’ই করেন। তাই বলে প্রতিপক্ষের টিম বাসে গুলি! এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাই ঘটল তুরস্কে। শনিবার ফেনারবাচের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর রিজেস্পোরের কয়েকজন সমর্থক হামলা করেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বহন করা বাসে। তাঁদের গুলিতে খেলোয়াড়দের কারো ক্ষতি না হলেও গুরুতর আহত হয়েছেন বাসের চালক।
তুরস্ক সুপার লিগে রিজেস্পোরের মাঠ থেকে বিশাল জয়ের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ফেনারবাচের ফুটবলাররা। হঠাৎই ভয়ংকর এক আক্রমণে হতভম্ব হয়ে যান তাঁরা। হামলার সময় মুখে আঘাত পেলেও কোনো রকমে বাস থামাতে সক্ষম হন বাসের চালক। পরে পুলিশের গাড়ি এসে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে।
লিগের শীর্ষে থাকা ফেনারবাচে ক্লাবের সহ-সভাপতি মাহমুট উসলুর ধারণা, ‘খেলোয়াড়দের মেরে ফেলার জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে। এটা অবিশ্বাস্য।’
তুরস্কের ত্রাবজন রাজ্যের গভর্নর আবদিল চেলিল অজও এমন ঘটনায় মর্মাহত। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম বাসে পাথর ছোড়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে এটা ছিল সশস্ত্র হামলা।’
ফেনারবাচে তো লিগ বন্ধেরই আহ্বান জানিয়েছে নিজেদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, ‘আমরা মনে করি এই হামলার সন্তোষজনক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিযোগিতা মুলতবি রাখা অনিবার্য। রক্তপাতের ঘটনায় ফুটবল আজ স্তব্ধ। ফেনারবাচের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া।’
এক বিবৃতিতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশনও। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী চাথায় কিলিচ।