টেন্ডুলকারের ‘ব্যতিক্রমী’ অভিজ্ঞতা

‘আমি কখনো কল্পনাও করিনি, যাঁদের দেখে বড় হয়েছি তাঁদের সাথে একমঞ্চে থাকার সৌভাগ্য হবে’—কথাটা যিনি বললেন, তিনি নিজেই ক্রিকেটের বিস্ময়। এবারের লরিয়াস বর্ষসেরা ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। বুধবার রাতে চীনের সাংহাইয়ে এক জাঁমজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় লরিয়াস বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদের নাম।
পুরুষদের লড়াইয়ে বিজয়ী টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। আর নারীদের মধ্যে ইথিওপিয়ান অ্যাথলেট জেনজেবে দিবাবা। এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অষ্টম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নেন জোকোভিচ। আর মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি বিশ্বরেকর্ড গড়েন মাঝারি ও দূরপাল্লার দৌড়বিদ দিবাবা। দুজনের কেউই অবশ্য অনুষ্ঠানে ছিলেন না।
অনুষ্ঠানের অতিথিদের মধ্যে টেন্ডুলকার ছাড়াও ছিলেন ফ্রান্সের সাবেক তারকা ফুটবলার এরিক কাঁতোনা, নিউজিল্যান্ড রাগবি দলের সাবেক অধিনায়ক শন ফিট্জপ্যাট্রিক, চীনের কিংবদন্তি-অ্যাথলেট লিউ শিয়াং প্রমুখ। লরিয়াস বিশ্ব ক্রীড়া অ্যাকাডেমিতে টেন্ডুলকার ছাড়াও চীনের বাস্কেটবল-কিংবদন্তি ইয়াও মিংয়ের নাম যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। তবে জোকোভিচ আর দিবাবার অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও অনুষ্ঠানের জৌলুস কমিয়ে দিয়েছে।
বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন জার্মানি পেয়েছে সেরা দলের পুরস্কার। ‘এক্সেপশনাল অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার উঠেছে চীনকে দুটো গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা উপহার দিয়ে গত বছর টেনিস থেকে বিদায় নেওয়া লি না’র হাতে। ইয়াও মিং পেয়েছেন ‘স্পিরিট অব স্পোর্ট’ পুরস্কার। লিউ শিয়াং আর ইয়াও মিং সাংহাইয়ের মানুষ। দুজনের দিকে তাই একটু বেশিই নজর ছিল সাংহাইবাসীর।