অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যেই পড়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গন। একদিকে প্রথমবারের মতো টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে যাওয়ার আনন্দ, অন্যদিকে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের নবম স্থানে থাকার হতাশা। দুই ধরনের ফরম্যাটে এতটা আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখা যায় না আর কোনো দলের ক্ষেত্রেই। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজে দারুণ নৈপুণ্য দেখালেও ওয়ানডে সিরিজে শুধু হতাশই হতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে টানা চারটি ম্যাচ হারের পর বেশ দুশ্চিন্তাতেই পড়েছেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার। এভাবে চলতে থাকলে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে যে বাছাইপর্ব খেলতে হবে, সে ব্যাপারে শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

২০১৯ সালের পরবর্তী বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে ১০টি দল নিয়ে। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে বাদ দিয়ে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ সাতটি দলও পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের টিকেট। র‍্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে থাকা চারটি দলকে পেরোতে হবে বাছাইপর্বের বাধা। এ মুহূর্তে সেই চারটি দলের মধ্যেই আছে পাকিস্তানের নাম। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্তও যদি অবস্থা একই রকম থাকে, তাহলে বাছাইপর্বেই অংশ নিতে হবে ১৯৯২ সালের শিরোপাজয়ীদের। আর শেষ পর্যন্ত বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে না পারলে ঘটে যাবে অচিন্তনীয় ঘটনা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানকে ছাড়া। পরিস্থিতি যে তেমনই, তা খুব কড়াভাবেই বলেছেন পাকিস্তানের কোচ আর্থার, ‘পরিস্থিতিটা এখন এ রকমই। আমি এটা খুবই অপছন্দ করি, কিন্তু আমরা এখন আছি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বরে। আর এটা কেন হয়েছে, সেটাও আমরা দেখতে পাচ্ছি।’

বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই র‍্যাঙ্কিংয়ের উন্নয়ন ঘটাতে হবে পাকিস্তানকে। এ সময়ের মধ্যে তারা দুটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে; একটি করে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে। আর আগামী বছর অংশ নেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। কঠিন এই পরীক্ষাগুলোতে যে পাকিস্তানকে ভালো করতেই হবে, সেটা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের কোচ, ‘ভবিষ্যৎ সফরসূচি দেখলে বোঝা যায় যে আমাদের ম্যাচগুলো সহজ হবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমাদের খেলতে হবে দুটি সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডেতে খুব ভালো দল। এ দুই সিরিজের মধ্যে আমাদের ওয়ানডে সিরিজ আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, যেটা হবে খুবই কঠিন।’